মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পাঁচটি স্তম্ভ বা খুটির উপর নির্ধারণ করেছেন, তাহার মধ্যে নামাজ বা সালাত এই ইবাদতটি সমন্ধে মহান সৃষ্টিকর্তা ঘোষণা করেছেন য ,আমি পরকালে শেষ দিবসের দিন, প্রথমে আমার মুসলিম বান্দার নামাজ বা সালাতের হিসাব গ্রহণ করব ,যিনি আমার কোরআনুল কারিমের আদেশ মতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত আদায় করবে এবং সকল ধরনের কুরআনের নির্দেশ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবে, তাদের জন্য আমি ইহকালে সুখ শান্তি এবং পরকালে মুক্তি বাকি সকল কর্মের হিসেব সহজ করে দিব এবং চিরস্থায়ী জান্নাতের জন্য সুব্যবস্থা করে রেখেছি, যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলিম বান্দার জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত নির্ধারণ
করেছেন ,এছাড়াও পবিত্র রমজানের ঈদ এবং কোরবানির ঈদে দুই রাকাত করে অজিব নামাজ বা সালাত নির্ধারণ করেছেন , এবং মুসলমান ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে জানাজা নামাজ এটি ফরজে কিফায়া এটি পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায় এই নামাজগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে, না পালন করলে কঠিন গুনাহগার হতে হবে ,এছাড়াও তিনি আরো কিছু নফল নামাজ তাহার বান্দার জন্য নির্ধারণ করেছেন ,যাতে করে প্রতিটি মুসলিম বান্দা অনেক সওয়াবের অংশীদার হতে পারে।
এছাড়াও রমজান মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাহার বান্দাদের জন্য একমাস তারাবির নামাজ বা সালাত নির্ধারণ করেছেন, তারাবির নামাজের সাথে এক মাস, তিন রাকাত বিতর নামাজ ইমামের সহিত জামাতে আদায় করার তাগিদ দিয়েছেন ,বাকি সময়ে এগার মাসে একা একা এই নামাজ বা সালাত আদায় করার হুকুম দিয়েছেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাহার বান্দার জন্য সতের রাকাত ফরজ নামাজ বা সালাত নির্ধারণ করে ঘোষণা দিয়েছেন মহা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ।।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বা সালাতের পূর্বে মুসলিমদের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন খুজহ খুজবুহর সহিত পবিত্র হয়ে পবিত্র কাপড় পড়ে নামাজ আদায় করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
ফজর নামাজ বা সালাতঃ মোট চার রাকাত ,প্রথমে দুই রাকাত সুন্নত পড়ে দুই রাকাত ফরজ নামাজ বা সালাত আদায় করতে হয় ।
জোহরের নামাজ বা সালাতঃ মোট বার রাকাত , প্রথমে চার রাকাত সুন্নত ,চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল নামাজ বা সালাত আদায় করতে হয় ।
আসরের নামাজ বা সালাতঃ মোট আট রাকাত, প্রথমে চার রাকাত সুন্নত, পরে চার রাকাত ফরজ নামাজ বা সালাত আদায় করতে হয় ।
মাগরিবের নামাজ বা সালাতঃ মোট সাত রাকাত ,প্রথমে তিন রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল নামাজ বা সালত আদায় করতে হয় ।
এশার নামাজ বা সালাতঃ মোট মোট পনেরো রাকাত, প্রথমে চার রাকাত সুন্নত ,চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত ,তিন রাকাত বিতর ,দুই রাকাত নফল নামাজ বা সালাত আদায় করতে হয় ।
এছাড়াও মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তাহার মুসলিম বান্দার জন্য অতিরিক্ত সয়াবের জন্য বিভিন্ন নফল নামাজ বা সাতের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যেমন রাত জেগে তাহাজ্জুতের নামাজ বা সালাত আদায় করা ,ইসরাকের নামাজ বা সালাত ,আওয়াবিনের নামাজ বা সালাত ইত্যাদি এই নফল ইবাদত গুলো করলে তাহার বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অধিক থেকে অধিক রাজি খুশি হন এবং অধিক সব তাহার বান্দার আমল নামায় দান করেন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুন্নত বা নফল নামাজ বা সালাত গুলো বাসায় আদায় , ফরজ নামাজ গুলো মসজিদে গমন করে ইমামের সহিত জামাতে আদায়, করার নির্দেশ প্রদান করেছেন ,যদি সম্ভব না হয় ,সেই ক্ষেত্রে সকল এবাদত বাসায় করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন ,মসজিদে ইমামের সাথে জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দার প্রতি বেশি থেকে বেশি রাজি খুশি হন এবং অধিক সোয়াব দান করেন ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীমে ৮২ বার তাহার বান্দাদের প্রতি নামাজের তাগিদ প্রদান করেছেন
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে মুসলিমগণ দৈনিক সময় মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত আদায় করবে এবং সেই সাথে সকল ধরনের নেক আমল করবে, অমুসলিমগণ তারা এটি করবেন না মুসলিম বা অমুসলিমের মধ্যে এটি প্রধান পার্থক্য ।
মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারীমে বলেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হাদীস শরীফে ঘোষণা দিয়েছেন, নামাজ ফরজ হওয়া সত্বেও যে সমস্ত মুসলিমগণ নামাজের যথাযথ হেফাজত করবেন না ,তাদের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কঠিন আজাবের ব্যবস্থা করে রেখেছেন শেষ দিবসের দিন ।
মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষণা দিয়েছেন যে ,আমার সকল মুসলিম বান্দাগণ যদি দৈনিক সময় মত ,আমার সকল হুকুম আহকাম মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত যথাযথভাবে আদায় করে নামাজ বা সালাতের হেফাজত করে তাহলে তাহাকে আমি সকল অশ্লীল কাজ থেকে দূরে রাখবো এবং তাহাকে ইহকালে সুখ শান্তি এবং পরকালে মুক্তি হিসাবে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করব সেখানে সে চিরদিন অবস্থান করবে। ।