1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির চাকুরীর মেয়াদ বাড়াতে কোটি টাকার মিশন।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক:

মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির চাকুরীর মেয়াদ বাড়াতে কোটি টাকার মিশন নিয়ে কাজ করছে একটি বেসরকারী সংস্থা। উল্লেখিত সংস্থার মুখপাত্র বা সমন্বয়কারী হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মইন ইসলাম নামে জনৈক এক ব্যাক্তি। জানা যায়, ডিজি খ. মাহাবুবুল হককে তার চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধিতে কোটি টাকার বিনিয়োগের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন ডিজি ঘনিষ্টরা। সূত্র জানানায়, ডিজি এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরের বৃহৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাকা কালে সলিদারিদাদ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহত ভাবে কোটি কোটি টাকার সুবিধা দিয়েছে। যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে বলেও সংল্লিষ্ট সূত্র জানায়।

এছাড়াও, তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই ডিজি খ. মাহবুবুল হক। সূত্রটি আরো জানায়, ডিজি মাহাবুবুল হক সলিদারিদাদ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে নিজের ছেলের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা বেতনে চাকুরি নিশ্চিত করেছেন ঐ প্রতিষ্ঠানে।

অপর একটি সূত্র জানায়, ডিজি আগে ওয়াল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এনএটিপি-২ নামের একটি প্রকল্পের মৎস্য অংশের পরিচালক থাকাকালে চায়না ব্রান্ডের গাড়ি কিনে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন। তিনি থাইল্যান্ডের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যম জি-টু-জি পদ্ধতিতে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আয়োজন করিয়ে তার পছন্দমত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেন। এছাড়া, একই প্রকল্পে থাকাকালে ডিপিএম পদ্ধতির মাধ্যমে মোটর সাইকেল কিনে অডিট আপত্তিতে পড়েন। ডিজির ঘনিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চতুর খ. মাহাবুবুল অবসর পেলেই রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে সন্ধায় নিয়মিত তাস/জুয়া খেলেন। সেই তাস খেলার আড্ডাকে পুঁজি করে সুকৌশলে নিজের কেনাকাটার নানান দুর্নিতীর অডিট আপত্তি তার ক্লাবে তাস খেলা বা আড্ডা দেয়ার বন্ধু অডিট অধিদপ্তরের এক পদস্থ কর্মকর্তার মাধ্যমে নিস্পত্তি করে চলেছেন। তার অডিট আপত্তিগুলো পুনঃরায় তদন্ত করলে সত্যতা মিলবে।

উপরে ভালো মানুষের তকমা দেখিয়ে চললেও ডিজি খ. মাহাবুবুলের কাজকর্ম একেবারেই তার উল্টো। ডিজি নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে এবং ক্ষমতা প্রয়োগে তার চার পাশে নিজের ধামাধরা অফিসারের বলয় সৃষ্টি করে রেখেছেন।

জানা যায়, ডিজি ঘনিষ্ঠ অফিসারদের মধ্যে বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট বেগম মাসুদ আরা মমি চাকুরির শুরু থেকেই মৎস্য ভবনের প্রধান কার্যালয়ে একই জায়গায় ২২ বছর ধরে আছেন। তাকেও নানান সুবিধা দিতে এবং তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যাস্ত থাকেন এই ডিজি। কাজ ছাড়াও মমির বিরুদ্ধে জিজির রুমে প্রায়ই আড্ডা দেয়ার অভিযোগও আছে। মমির ঘনিষ্ঠরা দাবি করেন এভাবেই মমি ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের ম্যনেজ করে হেড কোয়াটারে ২২ বছর। প্রমোশন হয় নিয়মিত কিন্তু তার রুম আর চেয়ার টেবিল বদল হয়না।

বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট আরেক কর্মকর্তা মামুন-উর-রশীদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ছাত্রদলের রাজনীতি করলেও রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ পরিবারে বিয়ে করে বৈবাহিক সূত্রে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশাল আওয়ামী ঘরণার কর্মকর্তা বনে গেছেন। মামুন দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য ভবনে। ভালো পোষ্টিং গুলো তারই দখলে একসময় সাবেক ডিজি আরিফ আজাদের ষ্টাফ অফিসার ছিলেন মামুন । এছাড়া ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও বর্তমানে আবারো হেডকোয়াটারে আসতে একটুও বেগ পেতে হয়নি এই সাবেক ছাত্র দলের ক্যাডার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুন-উর-রশীদের।

এছাড়াও মৎস্য অধিদপ্তরের কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা সাবেক সাধারণ শাখার সহকারী পরিচালক আজিবুর পদোন্নতি পেয়ে গাজিপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের এসএডি পদায়ন হলে তাকেও রাতারাতি আবার ঢাকাতে আনা হয় ডিজির ইশারায়। গাজিপুরে পোষ্টিং থাকলেও মৎস্য ভবনের গাড়ি ব্যবহার করেছেন নিয়মিত। যে গাড়ি ব্যবহার করার কথা ভাবতেও পারেন না অন্যসকল এসএডি পদে চাকুরী করা কর্মকর্তারা। গুন্জন আছে ঐ কর্মকর্তা ডিজির মৎস্য ভবনের অবৈধ টাকা সংরক্ষনের ক্যশিয়ার হিসাবেও পরিচিত।

অধিদপ্তরের একটি নিয়োগ দেয়া থেকে ডিজি ও সাবেক এডিজি যোগসাজসে প্রায় ৩/৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রাজস্বে চাকুরী প্রাপ্তদের পরিক্ষা খাতা পুনঃমূল্যায়ন বা তদন্ত করলে এসকল অসংগতি স্পষ্ট হবে। সকল যার কারনে বর্তমান মন্ত্রী ও ডিজির মতবিরোধ চরমে বলেও জানা যায়। আরেক সূত্র থেকে জানা যায়, ডিজির বিরুদ্ধে বর্তমানে দুদকের মামলাও তদন্তাধীন। এই দুনীতিবাজ কর্মকর্তাকে ডিজি হিসাবে পদায়ন দেয়াতে মৎস্য অধিদপ্তরের উন্নতি ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়েছে। যার কারনে মৎস্য ডিজি গ্রেড-১ হলেও তার ননাবিধ দুর্নিতি অনিয়মের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত থাকায় কোন ভাবেই তার ডিজি খ. মাহাবুবুল র প্রমোশনের ব্যাবস্থা নিচ্ছেননা। এ রিপোর্ট লেখার সময়ে একাধিক বার ডিজির বক্তব্য নেবার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট