শাকুর মাহমুদ জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালী জেলা দিন রাঙ্গাবালী ছোট বাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় গত ২৫/০২/২০২০ইং তারিখ দৈনিক নয়াদিগন্ত ও দৈনিক গণদাবী পত্রিকায় একটি বিজ্ঞতি দেওয়া হয় নিরাপত্তা কর্মী,ও আয়া পদে ২জন জনবল নিয়োগ প্রসঙ্গে। এসময় মোঃ আবু তাহের,মোঃ আসিক,মোঃ দেলোয়ার ও মোসাঃ তিসা ব্যাংকে একহাজার টাকার পে-অর্ডার করেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ, চাকরির দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে অফিস খরচের কথা বলে বড় অংকের টাকা নেন ছোট বাইশদিয়া মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে প্রায় ৫-৬ মাস সময় ঘুরিয়ে সময় খেপন করেন পরে নিয়োগ দিবে বলে ওই বছর লোক না নিয়ে পরে নিয়োগ বিগ্পতি দিয়ে আমাদের নিয়োগ দিবে বলে আমাদের প্রায় দুইটি বছর অতিবাহিত করেন, তারপর থেকে যতবার তার সাথে আমরা দেখা করি ততবারই চাকরির আশ্বাস দেন। আমরা নিয়োগের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের কোন রকম নোটিস প্রধান না করে অত্যান্ত গোপনীতায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠানে বসে নিয়োগ সমপন্ন না করে পটুখালী জেলায় কোন যায়গায় বসে তিন জনের কাছ থেকে ২০.০০০০ টাকার মাধ্যমে শূন্য পদে তিন জনকে নিয়োগ দেন।
ভুক্তভোগী মোঃ আশিকের ভাই শিহাব জানান, আমার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, সুপার অফিস খরচ হিসাবে দু’লক্ষ টাকা দিতে বলে। আমার কাছে এতগুলো টাকা না থকার কারণে আমি তাকে ৫০,০০০ টাকা দেই। বাকি টাকা পরবর্তীতে দেব বলে জানাই।
ভুক্তভোগী আবু তাহের বলেন, সুপারের সাথে চাকরির বিষয়ে কথা বললে আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। এর আগে চাকরীর দেবার কথা বলে মাদ্রাসার পুর্ব পাশে অবস্থিত আমার বাবার কবলাকৃত ৬ শতাংশ জমি কেটে মাদ্রাসার ভিটা ও খেলার মাঠ ভরাট করে নেয়।এতে আমার প্রায় ২,০০,০০০ টাকা ক্ষতি হয়। সে গোপনে ২০.০০০০ টাকার ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে লোক নিয়ে নেয়। আমার কাছে সদ্য চাকরি পাওয়া এক ব্যাক্তির ফোন রেকর্ড আছে।তার কাছ থেকে ৪.৫,০০০০ টাকা ঘুষ নিয়েছে।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার জানান, সুপার আলমগীর হোসেন আমাকে চাকরির কথা বলে ১,৫০,০০০ টাকা চাইলে নগদ ৩০,০০০ টাকা দেই। আমি একজন অসহায় মানুষ আমার সাথে এমন প্রতারণা করা ওনার ঠিক হয়নি আমি বিচার চাই।
ভুক্তভোগী তিশার স্বামী বলেন, আমি নিজ হাত দিয়ে ৬০.০০০ টাকা দেই সুপারকে।সুপার আমার কাছে আরো ২.৪০০০০ টাকা দাবি করলে আমি তাও দিতে রাজি হই।
ভুক্তভোগী নূর হোসেন বলেন, আমার চাকরির কথা বলে ঐ মাদ্রাসার সুপার আর সভাপতি হানিফ মিয়া ২,০০,০০০ টাকা নেন। আমি চল্লিশ দিনের (তাবলীগ) জামায়াতে বাহির হলে তারা আমাকে না জানিয়ে আমার বউকে নিয়োগ দেন।
ছোট বাইশ দিয়া মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনকে ফোন দিলে বলেন, আমি আপনার কাছে কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজি না। আমি যদি অনিয়ম করে থাকি তাহলে আমার উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে জবাব দিব।এর আগেও অত্র মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নিতির অভিযোগ উঠে মাদ্রাসার,এ বিষয়ে
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ হানিফ মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।