আঃ মান্নান (রূপসা প্রতিনিধি) : রূপসায় দৈনিক ক্রাইম তদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও রূপসা প্রেস ক্লাবের সদস্য শেখ আশিকুর রহমান বাবুসহ তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছেন কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দৈনিক ক্রাইম তদন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শেখ আশিকুর রহমান বাবু দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও সৃজনশীল লেখালেখিতে যুক্ত, এছাড়া তিনি এলাকায় একজন স্বনামধন্য হোমিও চিকিৎসক। বাবুর মেজ ভাই শেখ হাবিবুর রহমান ও পরিবারের আরও দুই সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। মামলাটি দায়েরের পেছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ ও পূর্ব বিরোধ কাজ করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান পূর্বে পিঠাভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম শিক্ষা অফিসারের নিকট স্বামীর বিরুদ্ধে একটি নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মোস্তাফিজের সাথে তার মামী বেবী বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎকালীন শিক্ষা অফিসার আঃ রব সাহেব ব্যবস্থা নিতে উদ্যত হলে স্থানীয়ভাবে একটি মৌখিক মুচলেকার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।
মুচলেকায় দুটি শর্ত ছিল মামীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা যাবে না এবং স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে কোনো ছাত্রীকে এনে পড়ানো যাবে না।কিন্তু সম্প্রতি অভিযোগ রয়েছে মোস্তাফিজ তার বাড়িতে ছাত্রী এনে পড়ানো শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে কাজদিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান কোমলমতি ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরাসরি শিক্ষা অফিসে মৌখিক অভিযোগ করেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোস্তাফিজ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানার পর শেখ হাবিবুর রহমান শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে বিস্তারিত অভিযোগ দাখিল করেন।এ বিষয়ে সাংবাদিক শেখ আশিকুর রহমান বলেন“আমি শুনেছি মোস্তাফিজ মাস্টারের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ শিক্ষা অফিসে জমা পড়েছিল। আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তখনকার কাজদিয়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার মেজ ভাইয়ের মধ্যস্ততায় মৌলিক মুখলেচার মাধ্যমে শিক্ষা অফিসের শাস্তি হতে রক্ষা পান। একজন শিক্ষক যিনি মানুষ গড়ার কারিগর তিনি এমন মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন তা কখনো ভাবিনি। তিনি আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করলেন,সেটা আমার বোধগম্য নয়। অন্যদিকে মোস্তাফিজ মাস্টারের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী পরিবার,সাংবাদিকগণ ও স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। এবং হয়রানি মূলক মামলা দায়েরের জন্য দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও করেছেন।