আঃ মান্নান রূপসা প্রতিনিধি : জমে উঠেছে আগামী ৫ই জুন অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচন এর প্রচারণা।চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত ৪/৫ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উপজেলাবাসীর ধারণা শেষ পর্যন্ত দুইজন প্রার্থীর সাথেই মুল প্রতিযোগিতা হতে পারে। ইতিমধ্যেই আলোচনার তুঙ্গে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠন এর সমর্থিত পরিছন্ন রাজনৈতিক নেতা রুপসার ঐতিহ্যবাহী সরদার পরিবারের সদস্য,রূপসা উপজেলার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহমেদ। উল্লেখ্য এ পরিবারের দুইজন সদস্য ২০০১ সালে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণে শহীদ হন তাদের একজন অধ্যক্ষ ফেরদৌস এর আপন ভাই এবং অপরজন আপন চাচা।
অপরদিকে খুলনা-৪ আসনের এমপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবীব। মুলতঃ উল্লেখিত দুইজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এমনটাই জনগণ মনে করেন । ইতিমধ্যেই প্রচারণার উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ, ১ নং আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফ উজ্জামান বাবুল ও ২ নং শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক সরদার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল,রূপসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবিএম কামরুল,কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান মিয়া,ছাত্রলীগের আহবায়ক তানভীরসহ আওয়ামী লীগের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অধিকাংশ প্রভাবশালী নেতারাই অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস আহমেদ এর সাথে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও অধ্যক্ষ সরদার ফেরদৌস এর পক্ষে রূপসা উপজেলায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নেতা খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ সহ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.সুজিত অধিকারী ও সহসভাপতি এমএম মুজিবুর রহমান,জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদারকে প্রচারণার অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে।
এবার আসি শিরোনামে, রূপসা উপজেলায় কিছু পরিবার আছে যারা রাজনীতিকে পুঁজি করে তাদের বৈধ-অবৈধ ব্যবসা,শালিশ বানিজ্য পরিচালনা করে এবং তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত।মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা পারিবারিক মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত করে উভয় প্রার্থীর পক্ষে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। যাতে বিগত বছরগুলোর ন্যায় যেই জিতুক তারা পরবর্তীতে এক হয়ে বহাল তবিয়তে থাকবে।বিগত দিনে যেভাবে তারা দলে বিভেদ সৃষ্টি করে পরিবারের সদস্য এবং তাদের তাবেদারগণকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন সে পথেই তারা এগুচ্ছেন । এবার নির্বাচনী প্রচারণায়ও তারা পরিবার এবং তাদের তাবেদারগণকে নিজ নিজ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে অধিষ্ঠিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে জামায়াত-বিএনপি বলে কোনঠাসা করার চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষ উভয় প্রার্থীদের সাথে চিন্হিত এ ধরনের মানুষদের নির্বাচনী প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখতে চান না। কারণ ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও নির্বাচন পরবর্তীতে তারাই সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। এধরণের জনবিচ্ছিন্ন সুযোগ সন্ধানী নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিবেন না এমনটাই দলের সাধারণ নেতা কর্মীদের উভয় প্রার্থীর কাছে চাওয়া।
এবার জমজমাট লড়াই, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে সবার প্রত্যাশা এবং আশাবাদী।