আঃ মান্নান (রূপসা প্রতিনিধি) : পূর্ব রূপসা থানা শ্রমিক দলের নব গঠিত কমিটি প্রকাশ করায় পদ বঞ্চিত কয়েকজন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী বক্তব্য প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহর পক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নব গঠিত কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আবু সাঈদ গাজী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৯ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমে জানতে পারি কিছু সংখ্যক পদ বঞ্চিত শ্রমিক পূর্ব রূপসা থানা কমিটিতে কাংখিত পদ না পেয়ে আমাকে এবং আমার পরিবার নিয়ে আওয়ামীলীগের দোসর হিসেবে প্রচার করে আমার ও আমার পরিবারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি শ্রমিক নামধারী কিছু চাঁদাবাজ, খুলনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি উজ্জল কুমার সাহার রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমুলকভাবে বক্তব্য প্রদান করছে। তিনি নাকি অর্থের বিনিময়ে পূর্ব রূপসা থানা শ্রমিক দলের কমিটি ঘোষণা করেছেন। আমরা এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। আমাদের কমিটি যদি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় তবুও বলবো শ্রমিক দলের সভাপতি উজ্জল কুমার সাহা কোন শ্রমিকের কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহন করেননি। বরং শ্রমিকদের দুর্দিনে তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। যে ব্যক্তি তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে শ্রমিক দলকে গতিশীল করার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে পূর্ব রূপসা থানা শ্রমিক দল প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন আমি মাসুম বিল্লাাহ, রূপসা থানার বাগমারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার ভাই মোস্তফা কামাল নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিল। অমাকে মুন্নুজান সুফিয়ানের পাশে দাড়ানো ছবি দেখিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রচার করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমার পিতা মরহুম মিনহাজ উদ্দিন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন্নুজান সুফিয়ান আমাদের বাড়ীতে এসেছিলেন আমাদের শান্তনা দেবার জন্য। একই দিনে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির তৎকালীন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মী আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।
দলের পদবঞ্চিত ব্যক্তিরা আমাকে অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচারনা করার চেষ্টা করছে। আমি শ্রমিক দলের পূর্ব রূপসা থানার সভাপতি ছিলাম এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপর স্বৈরাচারী সরকারের দমন পিড়নের অংশ হিসেবে র্যাব সদস্যরা বিনা কারনে আমাকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র দিয়ে চালান দেয়। এধরনের মামলা আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের অনেকের নামেই রয়েছে। যারা অপপ্রচার করছে জেলার সভাপতি উজ্জল কুমার সাহা সে নাকি তার একক সিদ্ধান্তে কমিটি ঘোষনা করেছে। এটা সঠিক নয়। দীর্ঘ দুই বছর পূর্বে জেলার সম্পাদকের কাছে পূর্ব রূপসা থানার শ্রমিক দলের একটি কমিটি জমা দেওয়া হয়। খান ইসমাইল হোসেন সেটি অনুমোদনে ব্যর্থ হয়ে আমাদের কমিটি অনুমোদন করতে অস্বীকার করায় খুলনা জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের এবং সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে আমাদের কমিটি অনুমোদিত হয়। যা শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। ওই সব শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নৌকা, বাস-সহ অন্যান্য যানবাহন বন্ধ রেখে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করলে রূপসা থানার শ্রমিক দল তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দীন হাওলাদার, মোঃ তরিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য বসির হায়দার পল্টু, শামীম আহমেদ, ফরহাদ হোসেন, শামসুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, নাদিম শেখ, ইমরুল কায়েস জুয়েল, কমিটির সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, সাব্বির হোসেন, মোঃ গোলাম রসুল মোল্লা, আলী আকবর রাজু, মোঃ রানা শেখ, মো. জাকির শেখ, মোঃ বেল্লাল শেখ, মোঃ নাসির, বাদশা হাওলাদার, মোঃ মহব্বত ব্যাপারি, মোঃ খোকন ব্যাপারি, শহিদুল ইসলাম।