
লালমনিরহাট প্রতিনিধি;
মো: রব্বানী ইসলাম
লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) দুই নারী শিক্ষার্থীকে ইফটিজিং, হয়রানি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দিলারা আক্তার দুলি ও হাসিনা খাতুন পৃথক লিখিত অভিযোগে একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ করেছেন। প্রথম অভিযোগে দিলারা মোছাঃ আক্তার দুলি জানান, অঝবাউঞ্জ প্রকল্পের আওতায় “গচঝ” ট্রেডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক মাস নিয়মিত ক্লাস করার পর ট্রেড ইনচার্জ শিক্ষক জায়দুল হক হঠাৎ তাকে বাদ দিয়ে দেন। বাদ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি দুলিকে আলাদাভাবে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ট্রেড থেকে বাতিল করে অন্যজনকে ভর্তি করা হয়। তিনি আশঙ্কা করেন, এ ধরনের প্রস্তাব চলতে থাকলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হবে। দ্বিতীয় অভিযোগে হাসিনা খাতুন উল্লেখ করেন, গত ২৭ অক্টোবর অবঝঝউঞ প্রকল্পের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পর ফলাফল দেখার উদ্দেশ্যে গত শনিবার টিটিসি ক্যাম্পাসে গেলে সিনিয়র শিক্ষক জায়দুল হক তাকে ডেকে
নেন। পরে তিনি জানান, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে ভর্তি করে দেয়া হবে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ভবিষ্যতে টিটিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন।
দুই শিক্ষার্থীই লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, একই ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিক ছাত্রী এ ধরনের প্রস্তাব বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না ও নিলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। আর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষককের একটি অডিও ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক জায়দুল হক জানান, আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেবা কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অডিও রেকর্ডটি বানোয়াট মিথ্যা আমার না। বিষয়ে লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আইনুল হক বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এই অভিযোগ পাওয়ার পরে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত এবং নারী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি/মো: রব্বানী ইসলাম _
তারিখ-০১-১২-২০২৫_