স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার পল্লিচিকিৎসক নব কুমার শীলের নামে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করার অভিযোগ এবং চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ঠিক অপরদিকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসায় আর স্বাস্থ্য ও আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে সরজমিনে যেয়ে জানা যায় যে,নব কুমার শীল পল্লী চিকিৎসক হয়েও হিউমান বডির বিভিন্ন ধরনের টেস্ট তার নিজের তৈরি করা পল্লী চিকিৎসকের একটি পেডে ডিজিটাল পিয়াস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিল মেরে রোগীদের অহেতুক কারণে এইসব টেস্ট ধরিয়ে দিয়ে,ডিজিটাল পিয়াস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের একটি টাকা হাতিয়ে নেন এই পল্লী চিকিৎসক নব কুমার শীল।যেটা সম্পূর্ণভাবেই অবৈধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক এবং রোগীরা বলেন, এই পল্লী চিকিৎসক নব কুমার শীলের কাছে রোগীরা অল্প খরচে ভালো চিকিৎসার জন্য গেলে,তিনি রোগীদের ভুল-ভাল বুঝিয়ে যদি কোনো মহিলা প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ , পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি রোগ এবং ফুসফুস, ত্বক, রক্ত, হাড়, জোড় এবং পেট সংক্রমণ এই ধরনের কোন রোগ হয় তা হলে তিনি ট্রাইক্সন টি ইনজেকশন পুষ করে, যার বাজার মূল্য ৮৫ টাকা কিন্তু তিনি রোগীদের থেকে নেন ১৫০০ টাকা এবং মেরোপেনেম ইনজেকশন যার মূল্য ২৫২ টাকা এটি এসক্রিচিয়া কোলি এবং ক্লেসিয়েলা দ্বারা সৃষ্ট অন্ত্রের পেট সংক্রমণের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়। তিনি এই ইনজেকশন টি রোগীদের দিয়ে তাদের থেকে ২ হাজার টাকা করেনেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, চিকিৎসার নামে অপ চিকিৎসা যারা করেন সঠিক তদন্ত করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানান। যাতে করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আর কোন চিকিৎসক না করতে পারে ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ পন্থা আমরা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।