1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে নৃশংসভাবে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, এলাকায় উত্তেজনা বিএনপি অফিসে ককটেল হামলার মামলার জেরেই হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ এলাকাবাসীর

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার:

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে খাজা মোল্যা (৪৫) নামে এক কৃষককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ রক্তাক্ত ঘটনা ঘটে। নিহত খাজা মোল্যা উপজেলার পার ইছাখালি গ্রামের নবাব মোল্যার ছেলে এবং পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, খাজা মোল্যা সকালে চা খেতে কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে রবিউলের চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। খাজা মোল্যাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মেজো বোন রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “পলাশ ও তার লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে। জমির ফসল কেটে নেওয়া, গাছ কেটে ফেলা, ভয়ভীতি দেখানো ও নাশকতার মামলায় হয়রানি করছে। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। কারণ, এর আগেই একই এলাকায় বিএনপির একটি অফিসে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কুমারডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-২০০ জনকে আসামি করা হয়। নিহত খাজা মোল্ল্যার ভাইয়েরা ওই মামলার অন্যতম আসামি হওয়ায়, পূর্ব শত্রুতা থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ওই এলাকায় তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং অন্তত ১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে—পলাশ, এসকেন্দার, ইনসান, শেখ রওশন, মহসিন, তিতাস, রাহাত শেখ, রবিউল, শরিফুল, হৃদয়, রহমতুল্লাহ, সাইফুল, লাহাব, রাসেল, রনি, মান্না ও মাসুমের পরিবার।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট