স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিবাহিত জীবনের টানাপড়েন ও পরকীয়ার জেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন এক গৃহবধূ। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত স্বামীর উপর বটি চালিয়ে ভয়াবহ জখম করেন স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী বিল্লাল শেখ (৩৩) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আর অভিযুক্ত স্ত্রী রুমা বেগম (২৮) বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লাল শেখ ওই গ্রামের সোনা মিয়া শেখের ছেলে। অভিযুক্ত রুমা বেগম একই উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের সারোল গ্রামের ফরিদ শেখের মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে তাদের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে এক বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসার জীবনে দীর্ঘদিন ধরেই কলহ লেগেই ছিল। সম্প্রতি স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহে ক্ষিপ্ত ছিলেন স্ত্রী। শনিবার রাতে স্বামী ঘুমিয়ে পড়ার পর বটি হাতে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েন রুমা। স্বামীর গোপনাঙ্গে একাধিক কোপ দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্লালের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে হাসপাতালের বিছানায় কাতরানো অবস্থায় বিল্লাল শেখ সাংবাদিকদের বলেন,
“রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ রুমা বটি নিয়ে আমার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার গোপনাঙ্গে কোপ দেয়। ঠেকাতে গিয়ে আমার হাতও কেটে যায়। ১২-১৪টি সেলাই লেগেছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মামলা করব।”
পরকীয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, “কোন কারণ ছাড়াই সে এই জঘন্য কাজ করেছে।”
তবে অভিযুক্ত স্ত্রী রুমা বেগম পুলিশের হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান,
“বিল্লাল শেখকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগমকে আটক করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। স্বামীর চরিত্র নিয়ে স্ত্রীর সন্দেহ বাড়তে থাকে। ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।