নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে পলাতক শহিদুল আলম বাপ্পা। রাউজান মদুনাঘাট সংলগ্ন মুন্সীটেন্ডলের বাড়ির শামসুল আলমের ছেলে। বিভিন্ন মানুষ থেকে টাকা হাওলাত করে তার পরিবর্তে চেক প্রদান করে বিভিন্ন সময়ে টাকা ফেরত দিবে বলে বলে বছরের পর বছর পড়ে আছে দুবাই শহরে। এই বিষয়ে এক ভুক্তভুগী শহীদ পরিবারের সন্তান নুরনাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান তার কাছ থেকে টাকা হাওলাত নিয়ে দীর্ঘদিন ওই টাকা দেওয়ার কোনো সারা শব্দ নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে এই পলাতক আসামী শহিদুল। ভুক্তভুগী নুরু নাহার বেগম বলেন আমার স্বামী আবুধাবিতে সরকারি চাকরি করে তখন এবং আমার ছেলে লন্ডনে অবস্থানরত অবস্থায় বিল্ডিং এর কাজে ব্যয় করার জন্য আমাকে টাকা দেয়। পারিবারিক সূত্রে তার সাথে আমার ছোট ছেলের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক পরিচিতি ছিল। আর আমার ছেলের বন্ধু হিসাবে এরপর তার নিজের ব্যবসার পরিচালনার জন্য আমার কাছ থেকে টাকা হাওলাত চাইলে টাকা হাওলাত হিসেবে আমি দিলাম। কিন্তুু বিভিন্ন সময় ওই টাকা ফেরত দেবে বলে আশ্বাস দিলেও টাকা দেওয়ার কোন ইচ্ছা ওই শহিদুল আলমের নেই। তবে টাকার পরিবর্তে ভুক্তভোগী নুরু নাহার বেগমকে দুটি চেক প্রদান করেন একটি ১৫ লক্ষ টাকার আরেকটি ৩ লক্ষ টাকার। ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার বেগম ওই চেক ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজাইনার করে চট্টগ্রাম আদালতের শরণাপন্ন হয়। এবং আদালত আসামিকে উপস্থিত না পেয়ে দীর্ঘদিন পর সাজার শুনানি করেন।এদিকে ভুক্তভোগী ওই মহিলা বিভিন্ন চিন্তায় জর্জরিত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আর আসামি শহিদুল আলম বাপ্পা স্বাধীনভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে দুবাই শহরে।আসামি শহিদুল আলম বাপ্পা এর বাবা শামসুল আলম ভুক্তভুগী নুরনাহার বেগমকে আশ্বাস দিয়ে একটি ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্প ও দেন, উনি বলেন আমার ছেলে টাকা দিতে না পারলে এই টাকার জিম্মেদার আমি নিলাম, কিন্তু পরবর্তীতে শামসুল আলম ওই মহিলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভুগী ওই মহিলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট আকুল আবেদন জানান যাতে ভুক্তভোগী নুরুননাহার বেগম এর পাওনা টাকা এই প্রতারকের হাত থেকে ফেরত পাই, ভুক্তভুগী নুরুন্নাহার বেগম আরো জানান আমি শহীদ পরিবারের সন্তান আমার বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারদের হাতে নিহত হন বোয়ালখালীর শহীদ সৈয়দ আলম। আমার বড় ভাই বোয়ালখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুদ্দিন ওই টাকার মধ্যে আমার বড় ভাইয়ের ও ৬ লক্ষ টাকা আছে যা আমার কাছে রেখেছিল।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঐ ছয় লক্ষ টাকা আমার বড় ভাইকে আমি দিতে ব্যর্থ হই সেই চিন্তায় আমার বড় ভাই দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন এই প্রতারকের কারণে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন আমার মত শহীদ পরিবারের সন্তানের সাথে এই ধরনের প্রতারণা জন্য বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু বিচার আশা করেন ভুক্তভোগী নুরুন্নাহার বেগম।