1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

শিবচরে জনতার গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

 

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

 

মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে মিরজন খালাসী ( ৪৩) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আসমত আলী খান ওরফে হাসমত (৪৫) নামে এক ডাকাত গুরুতর আহত হয়েছে।

 

সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের চর ছলেনামা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত মিরজন খালাসী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সুম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আহত আসমত আলী খান ওরফে হাসমত মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার রত্তন খানের ছেলে।

 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মধ্যরাতে সুম্ভুক এলাকার হালিম ফকিরের বাড়িতে পাঁচজনের এক সংঘবদ্ধ দল ইজিবাইক চুরির উদ্দেশ্যে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন জেগে ওঠে।

 

সংঘবদ্ধ চক্রটি বাড়ির পাশের এক ঝোপের মধ্যে গিয়ে লুকানোর চেষ্টা করে। এলাকায় ডাকাত পড়েছে’ এমন খবরে এলাকাবাসী বেড়িয়ে এসে ধাওয়া করে চক্রটিকে। চক্রের তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। গণপিটুনির একপর্যায়ে মিরজন নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

 

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহত ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

 

হাসপাতালে আহত ডাকাত হাসমত বলেন, ‘এই প্রথমই গেছিলাম অটো চুরি করতে। আমরা ৫ জন ছিলাম। জেলে ওদের সাথে পরিচয়। এলাকার লোকজন মারছে।’

 

হালিম ফকিরের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ‘রাতে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে দেখতে পাই ৫/৬ জন লোক আমাদের বাড়ির গেটের তালা খুলছে। পরে আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা কারা। তখন আমাকে বলে আমরা পার্টির লোক।পুলিশ আমাগো ধাওয়া করছে। পরে আমি তাদের আমাদের কাচারি ঘরে যেতে বলি। পরে দেখি তারা আমাদের গেটের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। এসময় আমি চিৎকার করি তখন বাড়ির সব লোক উঠে গেলে ওরা দৌড়ে পালিয়ে ছলেনামার দিকে চলে যায়। পরে ওখানে আটক হয়।

 

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের সদস্যরা দুইজনকে এখানে নিয়ে আসলে আমরা একজনকে মৃত অবস্থায় পাই। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’

 

শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলজার আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। এর মধ্যে একজন গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট