1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সরকারি খাস জমিতে উন্নয়ন প্রকল্প, বাধা দিল প্রভাবশালীরা? প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে থানায় অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি খাস জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সেচ উন্নয়ন প্রকল্প চলছিল—উদ্দেশ্য, এলাকাবাসীর কৃষিকাজে সহায়তা। তবে সেই উন্নয়নকাজেই বাধা দিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। শুধু বাধাই নয়, ভুক্তভোগীকে হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষক মোঃ মাহবুব শেখ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পৌর এলাকার কুচিয়াবাড়িয়া মৌজার এস.এ ১/১ নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত একটি সরকারি খাস জমিতে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ডিপ টিউবওয়েল বসানো ও জলাশয় খননের কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর। এ জমি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু কৃষক দখল করে চাষাবাদ করে আসছিলেন, কিন্তু সরকারি কাজে ব্যবহার শুরু হওয়ায় চাপে পড়েন তারা।

ভুক্তভোগী মাহবুব শেখ বলেন, “সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকা উপকৃত হবে জেনেও কিছু ব্যক্তি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। কাজ শুরুর পরদিনই আমাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়, এমনকি মারধরের জন্য তেড়ে আসে। হুমকি দেয়—আর মাঠে গেলে লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে নাম রয়েছে তারা হলেন–লোহাগড়া উপজেলার দাশেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত মাজেদ ফকিরের দুই ছেলে মোঃ জহির ফকির ও মো: কুটি ফকির এবং ওসমান শেখসহ এছাড়াও রয়েছে ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা।

এরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী বলেই জানা গেছে।

আইনগত ভাবে সরকারি খাস জমিতে সরকারের অনুমোদিত প্রকল্পে কেউ বাধা প্রদান করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে সর্তক। লোহাগড়া থানার ওসি জানান:

“অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি সরকারি খাস জমি নিজেদের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করে আসছিলেন। সরকার প্রকল্প নিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বাধা দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন,

“সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে নিজের প্রভাব দেখানো কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত হস্তক্ষেপ করা।”

একটি উন্নয়ন প্রকল্প, যা কৃষি নির্ভর একটি অঞ্চলের মানুষকে সেচ সুবিধা দিতে পারে, সেটিতে বাধা দেওয়া কি শুধুই জমির দখল রক্ষার লড়াই, নাকি এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের অন্য কোনো বিরোধ? প্রশাসনের দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট