বিনোদন প্রতিবেদক | ঢাকা
বর্তমান সময়ের বহুমাত্রিক প্রতিভাবান এক নাম—এম এইচ মুন্না। একদিকে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ‘গণতদন্ত’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক, অপরদিকে বাংলাদেশ সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর দপ্তর সম্পাদক। সাংবাদিকতার এই সুপরিচিত মুখ এখন সমানতালে আলো ছড়াচ্ছেন অভিনয়, নির্মাণ ও মিউজিক ভিডিও প্রযোজনায়ও। কলমের ধার আর ক্যামেরার কারিশমা একত্র করে নিজের মতো করেই বাংলা বিনোদনজগতে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য অবস্থান।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইউটিউব চ্যানেল MH Munna Production ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং অর্জন করেছে ৪৮ লাখেরও বেশি ভিউ। একক প্রচেষ্টায় পরিচালিত এই চ্যানেলের প্রতিটি নাটকেই তিনি ছিলেন মুখ্য চরিত্রে, যেখানে তার অভিনয়ের স্বতঃস্ফূর্ততা, কণ্ঠের ভঙ্গিমা এবং সাধারণ মানুষের গল্প বলার সহজাত দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছে।
‘সাইকো’, ‘মিথ্যুক’, ‘বিয়ে পাগল বুলবুল’, ‘হাবু চোর’, ‘মতিনের ফেসবুক প্রেম’, ‘চুরি করা বউ’, ‘মিথ্যুক’, ‘ বাপ বেটার এক প্রেমিকা’, ‘বেকুব জামাই’, ‘সৎ অফিসার’ —এমন অসংখ্য নাটকে তিনি শুধুই অভিনয় করেননি, বরং নির্মাণ, পরিকল্পনা ও সম্পাদনার ক্ষেত্রেও রেখেছেন সক্রিয় অংশগ্রহণ। প্রতিটি চরিত্রেই তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র এবং দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার মতো।
শুধু নাটকেই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এম এইচ মুন্না নিজের প্রযোজনায় নির্মাণ করছেন একের পর এক মিউজিক ভিডিও, যার বেশ কয়েকটি ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়ে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘কবুল কবুল’ (মুন্না ও বেলি),
‘সুন্দরী সুরাইয়া’ (মুন্না ও তানিসা তিশা), ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ (মুন্না ও প্রিয়া), এবং আইটেম সং ‘ঢাকা থেকে কলকাতা’ (মুন্না ও অস্পরা)।
এই মিউজিক ভিডিওগুলোতে তিনি অভিনয় ও মডেল হিসেবে যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন—তিনি শুধু নাটকেই নয়, গানের পর্দাতেও অনায়াসে দর্শকের মন জয় করতে পারেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘ম্যাডাম ফুলি’ নামের একটি বর্ণাঢ্য আইটেম সং, যেখানে তাঁর বিপরীতে আছেন নিকি আহমেদ। পাশাপাশি ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্যাড বয়’ শিরোনামে আরেকটি চমকপ্রদ মিউজিক ভিডিও, যেখানে এম এইচ মুন্না হাজির হবেন একেবারে নতুন রূপে।
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুন্না বলেন—“আমি সবসময় বিশ্বাস করি—পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকতা আমার রক্তে, আর অভিনয় আমার আত্মা। আমি চাই, দর্শক যেন আমার কাজে বাস্তবতা ও বিনোদনের সমন্বয় খুঁজে পান। সামনে আরও বড় পরিকল্পনা আছে—নতুন ধারার গল্প, আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ আর অভিনয়ের গভীরতা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি কৃতজ্ঞ আমার দর্শক, সহকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি, যাঁরা সবসময় আমাকে সাহস দেন নতুন কিছু করার।”
অভিনয়, নির্মাণ, মিউজিক ভিডিও এবং সাংবাদিকতার মতো বিচিত্র অঙ্গনে যিনি নিজেকে একইসঙ্গে প্রমাণ করে চলেছেন, তিনি নিঃসন্দেহে একজন সত্যিকারের সংগ্রামী শিল্পী। এম এইচ মুন্না এখন শুধুই নাম নয়—এটি হয়ে উঠছে প্রতিশ্রুতি, পরিশ্রম আর প্যাশনের প্রতীক।