এস এম আক্কাস আলী (আকাশ) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মান কাজ দেড় যুগের বেশি সময় পার হলেও শেষ হয়নি। অযন্ত্র অবহেলায় পড়ে আছে মিনার গুলি। নেই সীমানা প্রচীর। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক ভাষা মতিনের জন্মভুমি এলাকা চৌহালীর এনায়েতপুরে শহীদ মিনারের এমন দুদর্শা দেখে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী সহ এলাকার সচেতন মহল।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজিমন দেখা যায়, চৌহালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম কর্ণারে ইট পাথরের তৈরী মিনারের ১১টি পিলার দাড়িয়ে আছে। তবে এখনও বেদি নির্মান সহ বহু কাজ বাকি। স্থানীয়রা শহীদ মিনারের কাটা তারের বেড়ায় কাপড় শুকাচ্ছেন। কেউ কেউ ফসল শুকাচ্ছেন। গবাদি পশু ও শিশুরা খেলাধুলা করছে। এ যেন সৃষ্টির আগেই ধ্বংসের পথে একটি শহীদ মিনার। দেখা যায়নি একুশে ফেব্রুয়ারিতে শ্রদ্ধা জানাতে কোন প্রস্তুতি।
স্থানীয় শিক্ষার্থী কাউসার, নাঈম ও রোজা খাতুন জানান, ছোট বেলা থেকে এখানে শহীদ মিনারটি অরক্ষিত অবস্থায় দেখি। শহীদ মিনার পরিপূর্ন হলে একানে আমরাও ফুল নিয়ে আসতাম ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহীনি বলেন, এই ভাবে কতো বছর হইলো পড়ে আছে। এটা কি আর শহীদ মিনার হবে ? তাই কাপড় চোপড় শুকাই। গরু বাছুর ও পোলপান সব সময়ই দৌড়াদৌড়ি করে। এতোতো কেউ নিষেধ করে না।
এনায়েতপুরের সাংস্কৃতিক কর্মী ও চিত্র শিল্পী মোশারফ হোসেন খান জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে এলাকার প্রবীণ ও নবীনদের উদ্যোগে শহীদ মিনারটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। নিজেদের অর্থায়নে ইট, সিমেন্ট ও সুরকি ও কাজ শুরু করে দৃশ্যমান একটি স্ট্রাকচার দাড় করানো হয়। তবে মাঝ পথে নানাবিধ সমস্যার কারনে সেটা আর পরিপূর্ন শহীদ মিনারের রুপ দিতে পারিনি। এটা এখন ময়লা ফেলা ও কাপড় শুকানোর যায়গায় পরিনত হয়েছে। দ্রুত এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কার ও পরিপূর্নতা চাই।
এবিষয়ে আইসিএল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভাষা মতিনের এলাকায় একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মানে দেড় যুগ চলে যাচ্ছে তারপরও শেষ হচ্ছে না। এটা অনেক বেশি লজ্জা ও কষ্টের। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজানাতে দ্রুতই এই শহীদ মিনারের অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেবে।
(ছবি- এনায়েতপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সীমানা প্রাচীর না থাকায় কাপড় শুকাচ্ছে স্থানীয়রা)