নিজস্ব প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের হালিশহরের ‘কমিশনার গলি’র কে ব্লকে এক ব্যক্তি—নিরব হোসেন—নামধারী এক সমাজঘাতক মাদকসিন্ডিকেটের কুখ্যাত চালক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ভিডিওতে যা উঠে এসেছে, তা শুধু আইন নয়, ন্যায়ের বুকে এক অপমানজনক থাপ্পড়।
ভিডিওতে যা দেখা গেছে—
ফাঁস হওয়া একাধিক ভিডিও ও তথ্য-প্রমাণে স্পষ্টভাবে দেখা যায় নিরব হোসেন নিজেই ইয়াবা সেবনে নিমগ্ন। শুধু তাই নয়, অর্ধনগ্ন নারীদের সঙ্গেও একাধিকবার শারীরিক লিপ্ততায় তাকে দেখা গেছে। ভিডিওতে নিরব এক হাতে ইয়াবা, অন্য হাতে পানীয়, আর তার চারপাশে নাচতে থাকা নারীরা—এই যেন এক অশ্লীলতার রাজদণ্ড হাতে 'মাদক-রাজা'র আত্মমগ্ন ভোগপর্ব।
নিরব হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তাকে টোকা দেয়নি কেউ। কারণ? খবরে জানা যায়, তার পেছনে আছে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়া। ঠিক যেন মাদকের বস্তা নয়—প্রতিটি ইয়াবার পেছনে লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক ছাড়পত্রের সিল।
নিরব শুধু মাদক বেচা-কেনা করে না, বরং তার বাসস্থানই হয়ে উঠেছে ‘মাদক ও নারী ভোগ’-এর আস্তানা। নিত্য নতুন তরুণীকে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে আনা, এরপর অ্যালকোহলের নেশায় বুঁদ করে শারীরিক সম্পর্ক—এ যেন এক চলমান ‘জীবন্ত দেহব্যবসা’, যার মূল হোতা হয়ে উঠেছে এই নিরব।
অভিযোগ রয়েছে, নিরব হোসেন পুলিশের সোর্স পরিচয়ে নিজেকে অনেক সময় নিরাপদ রাখে। টাকার জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন দুর্নীতিপরায়ণ সদস্যের পকেটে ঢুকে সে একরকম ‘অঘোষিত নিরাপত্তা বেষ্টনী’ গড়ে তুলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়,“আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই লোকটার কারণে রাস্তায় বের হতে ভয় পায়,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক।
আরেকজন জানান, “নিরব এখন আর লোক না, সে হালিশহরের বিষাক্ত ভাইরাস। পুলিশ জানে, প্রশাসন জানে—কিন্তু কেউ কিছু বলে না।”
একজন নিরব মানে হাজার তরুণের ধ্বংস। এক মাদক ডিলারের ক্ষমতা মানে গোটা সমাজের মৌলিক মানবিকতার কবর। এখন সময় এসেছে, প্রশাসনের মুখোশ ছিঁড়ে জনতার আদালতে এই নিরবদের বিচার ত্বরান্বিত করার।
আরও ভিডিও, তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষাৎকারসহ ধারাবাহিক অনুসন্ধান আগামী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে।