শাহারুখ আহমেদ (স্টাফ রিপোর্টার):
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় আদালতে আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এসময় সাক্ষী দেন রয়্যাল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও সাংবাদিক নূর নবী জনি। সাক্ষ্য গ্রহনের সময় আদালতে মামুনুল হক উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, মামলায় ৪০ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, সাক্ষীরা যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছে এতে প্রমাণিত হয় না মামুনুল হক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে মামুনুল হক নির্দোষ, আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাবো। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন জানান, মামুনুল হকের ধর্ষণ মামলায় আরো দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষ্য শেষে মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৪ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত। মামুনুল হককে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহন শেষে তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণ থাকায় সকাল থেকে আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রয়্যাল রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা দায়ে করেন মামুনুল হকের দাবিকৃত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।