নিজস্ব প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা শাহাবাজ মোল্লা আদর—একজন শান্তপ্রিয়, ভদ্র ও সমাজে শ্রদ্ধেয় যুবক—বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে নানাবিধ নিপীড়ন, অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। পিতা মরহুম ওয়াজউদ্দিন মোল্লার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান আদর, চার বোন ও এক ভাইয়ের এই পরিবারে পিতৃহীন অবস্থায় নিজের পৈতৃক ভিটাতেই বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আদর একজন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও পরিশীলিত তরুণ। এলাকাবাসীর কেউ কখনো তাকে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখেননি। দীর্ঘ সময় ধরে নানা সংকট ও প্ররোচনার মধ্যেও তিনি শান্তভাবে জীবন পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক বলয়ের দুষ্টচক্র তার এই শান্ত জীবনকে পরিণত করেছে দুঃস্বপ্নে।
শাহাবাজ মোল্লা আদরের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা ১৪ বছর তিনি রাজনৈতিকভাবে নিপীড়িত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সময়ের পরিক্রমায় বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও তাকে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন, অপমানিত ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এক কথায়—কোনো দলই তাকে রেহাই দেয়নি।
শাসনযন্ত্রের ছত্রচ্ছায়ায় লালিত কিছু দুর্বৃত্ত স্থানীয় রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তাকে বারবার নিপীড়ন করেছে বলে দাবি করেন তিনি। অথচ তিনি নিজে কখনো কোনো দলের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না; বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র ও সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলাই ছিল তার আদর্শ।
চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা শাহাবাজ মোল্লা আদর বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন—এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে এবং একজন নাগরিক হিসেবে তার মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তার প্রশ্ন—”যদি একটি স্বাধীন দেশে একজন নিরীহ নাগরিক এক যুগ ধরে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটায়, তবে সেই রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার কোথায়?”
এলাকাবাসী ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মহলও মনে করছেন, একজন নিরপরাধ নাগরিকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি এই নিপীড়ন অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে তদন্তযোগ্য এবং এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।