নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এ.এস.আই) মিঠুল এক গৃহবধুকে বিয়ে করেছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে। ডি এম পির পুলিশ কমিনার বরাবর দরখাস্ত সূত্রে যানাযায়, মিরপুর মডেল থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এ.এস.আই) মিঠুল। পবিত্র কুমার দাশ, পিতা- অমল কুমার দাশ, সড়ক নং-০৮, বাসা-২৭, ব্লক এইচ মিরপুর ২ ঢাকা ১২১৬ এর স্ত্রী স্বর্না রাণী দাশের সাথে উল্লেখিত মিঠুলের পরকীয়া চলতে থাকে দীর্ঘ ০৬ মাস ধরে, সূত্র মতে গত ০২/০৭/২০২২ ইং তারিখে ডি.এম.পির পুলিশ কমিশনার, বরাবর একটি অভিযোগ করে বলেন, আমার বিবাহিত জীবন ০৭ মাস চলছে, আমার স্ত্রীর নাম স্বর্না রাণী দাশ এর সাথে আমি সুন্দর ভাবে সংসার করে আসছি, আমার ব্যবসায়ীক কাজের জন্য সকালে বাসা থেকে বের হয়ে ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আসি এবং রাত্রে বাসায় ফিরি। একদিন আমি দুপুরে বাসায় গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী বাসায় নেই। আমি ফোনে যোগাযোগ করলে সে বলে, আমার ব্যাক্তিগত কাজে বাহিরে আছি। এ রকম ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে, সন্দেহ বশত ঃ কারণে একদিন আমি আমার স্ত্রীর পেছনে যাই এবং গিয়ে দেখি একটি ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে এক জন লোকের সংঙ্গে বসে আছে। আমি জিঙ্গেস করলে সে জানায়, তিনি মিরপুর মডেল থানার (এ.এস.আই) মিঠুল চক্রবর্তী সে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার পরিচয় পাওয়ার পর তার সাথে কুশল বিনিময় করে আমার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় নিয়ে আশার পর আমার স্ত্রী আমার সাথে খুব খারাপ আচরন করে। মিঠুলের ব্যাপার কোন প্রশ্ন করলে আমার উপরে বেপরোয়া আচরন করে ও (এ.এস.আই) মিঠুলের ভয় দেখায় ঐ দিন থেকে আমাদের সুখের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এই কু-রুচির আচরনের জন্য আমাদের দুই জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া সৃষ্টি হতো। পরে আরো একদিন মিঠুল ও আমার স্ত্রী সহ একটি রেস্টুরেন্টে সামনা সামনি ধরে ফেলি তখন সে আমাকে বলে, বারবার ফলো দিচ্ছিস কেনো, তখন আমি বলি, তোমাকে কল দিচ্ছি ফোন রিসিভ করছোনা কেনো ? উত্তরে সে বলে তুই এখানে আসিস কেনো ? তখন মিঠুল চক্রবর্তী বলে, তোর মাধ্যমে আমার বান্ধবীর কোন কষ্ট বা ঝগড়া বা হাত তুলিশ তাহলে তোকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে ভরিয়ে দিবো।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মিঠুল চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করি এবং তাকে অনুরোধ করি, ভাই আপনি আমাদের মাঝে আসবেন না। আপনি বিবাহিত এবং আপনার ২টি সন্তান আছে, আমার সুখের সংসার নষ্ট করবেন না কিন্তু মিঠুল চক্রবর্তী আমার কথা শুনে না এবং আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে গত ২৯ তারিখ ২০২২ ইং মিঠুলের সাথে চ্যার্ট করা অবস্থায় আমি দেখে ফেলায় মোবাইল নিয়ে যাই এবং ভেঙ্গে ফেলি। এর পর আমার স্ত্রী স্বর্ণা রাণী দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় । যখন সে বাসা থেকে বের হয় তখন আমি নিচে নেমে দেখি মিঠুল মটর সাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে আছে তারপর তারা দুজনে এক সাথে চলে যায়।
উক্ত পবিত্র সাংবাদিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে একটি দরখাস্ত করলে সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব এস.এম রবিউল আউয়াল তার তদন্ত কর্মকর্তা বি.এম শরিফ হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন, শরিফ ০৯ জন সাংবাদিক সহ উক্ত ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন, এসময় কাফরুল থানার অফিসার্স ইনচার্য মো ঃ হাফিজুর রহমানকে অবগত করে স্বর্না ও মিঠুলের বাসা ৫৩৫ কামার রোড, কাজীপাড়া মোঃ হাকিমের বাড়ীর ২য় তলার যান। এসময় বাড়িওয়ালা হাকিম বাসার মধ্যে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে মিঠুল ও স্বর্ণার বাসায় প্রবেশ করেন। মিঠুল বাসায় থাকলেও সাংবাদিকদের মুখোমূখি হোননি। স্বর্না জানায়, আমি পবিত্রকে ডিভোর্স করেছি পরে মিঠুলকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেছি। তালাক ও কাবিনের কাগজ চাইলে স্বর্না উক্ত প্রমানাদি কাউকে দেওয়া যাবে না বলে অনুরোধ করেন। অন্য দিকে বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া তথ্য ফ্রম সাংবাদিকদের দেখালেও, উহার ফোটোকপি ও ছবি দিতে অশিকৃত জানান। স্বর্না এক পর্যায়ে বলেন, আমি মিঠুলের বড় বউয়ের অনুমতি ক্রমেই মিঠুল কে বিয়ে করি। মিঠুলের ১ম স্ত্রী এর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমার ২টি কন্যা সন্তান আছে এবং আমি একজন সুস্থ মানুষ, আমি কেনো তাদের বিয়ে করার অনুমতি দিবো ? তারা মূলত পরকীয়া করে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা। বিয়ে করার কারন জানতে চাইলে মিঠুল জানায়, যা করেছি বেশ করেছি চুপচাপ সংসার কর, অন্যথায় তালাক দিয়ে দিবো। মিঠুলের সাথে সাংবাদকর্মীদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ হলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্রই ফোন কেটে, ফোন বন্ধ করেদেন, পবিত্র সাংবাদিকদের আরো বলে, মিঠুলকে আমার বাসায়, হোটলে, রাস্তায়, তার মটর সাইকেল, অবাধ চলাফেরা ও মেলামেশা করতে দেখি, এটাই আমার অপরোধ। সে আমাকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি মিঠুলের সন্ত্রাসী কাহিনী ও মিথ্যা মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিচার চেয়েও অজ্ঞাত কারনে বিচার পাচ্ছিনা। তাই জীবন মরনের মাঝখানে দাড়িয়ে বেঁচে আছি বলে অভিযোগ করেন।