গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ১২দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার আনসার রোড এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে কখনো সাংবাদিক,কখনো সরকারি লোক পরিচয়ে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে ও হাতিয়ে নেয়।
তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে স্থানীয় জনতা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করে তাদের ১৫দিনের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে একশ টাকা করে জরিমানা করেন। সাজা প্রাপ্তরা হলো, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার ফোকরা গ্রামের মো. তবিবুর রহমানের ছেলে অহিদুর রহমান (৩৮), ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার পলাশ কান্দা গ্রামের নায়েব উল্ল্যাহ্’র ছেলে মো. আ. সেলিম (২৮)। অহিদুর রহমান নিজেকে ৭১বাংলা টেলিভিশনের রিপোর্টার ও সেলিম ৭১বাংলা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন পরিচয় দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, শ্রীপুর সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেহেনা আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, অহিদুর ও সেলিম গত দুই মাস যাবৎ শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক ও সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছিল। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তারা শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকার স্বর্ণা মেডিক্যাল হলের স্বত্ত্বাধিকারী আ. ছালামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে এবং নগদ এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। একই দিন পাশ্ববর্তী আল্লাহ সহায় ফার্মেসির মালিক শাহাদত হোসেনকে ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদত্তীর্ণসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভয় দেখিয়ে ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাকে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করার হুমকি দিয়ে ৫০হাজার টাকা দাবি করেন। অভিযুক্তদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থাপন করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১৫দিনের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে একশ টাকা করে জরিমানা করেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের ১৫ দিনের সাজা ও প্রত্যেককে ১০০টাকা জরিমানা করেন। আজ দুপুরে সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।