মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্রীর উপহার জমিসহ ঘর পাওয়া ৫টি পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে, তাদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারিবদ্ধ ৫টি পরিবারকে উপজেলা কর্তৃক প্রধানমন্রীর উপহার জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা বিলের মাঝে সেখানে বেঁচে থাকার জন্য নেই কোন খাবার পানির ব্যবস্থা, খাবার পানি আনতে হলে তাদের যেতে হয় ২ মাইল রাস্তা অতিক্রম করে। বিল পাড়ি দিয়ে লোকালয়ে পানি আনতে গেলে সেখানে বাঁধে আর এক বিপত্তি। ঐ ৫ টি পরিবার স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ার কারণে অন্যের নলকূপ থেকে পানিও খেতে দেয়না স্থানীয়রা, যে কারনে এখন পাঁচটি পরিবারের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পাঁচ পরিবারের পানি পানের জন্য ১টি নলকূপ বসালেও সে নলকূপে কোন পানি উঠেনা, প্রথম কয়েক দিন পানি উঠলেও সে পানি পানের অযোগ্য হওয়ায় তা ব্যবহার করা সম্ভব হয়না। যে কারনে নলকূপটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। প্রধানমন্রীর উপহার পাওয়া ৫টি পরিবার অভিযোগ করে জানান, আমাদের বাড়ি এই এলাকায় না হওয়ার কারনে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা ধরনের নির্যাতনসহ হুমকি ধামকি দিতে থাকে, আমরা ভয়ে কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলতে পারিনা। উপজেলা প্রশাসন থেকে আপনাদের খোঁজ খবর নেয় কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অসহায় ভুক্তভোগীরা জানান, জমির দলিল ও ঘরের চাবি যেদিন দিয়েছিলো তার পর থেকে কেউ আমাদের খোঁজ খবর রাখেনি, এমনকি আমাদের বাড়ি অন্যত্র হওয়ায় এবং আইডি কার্ড এই এলাকার না হওয়ার কারণে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার কেউ খোঁজ নেয়না এবং সরকারি কোন অনুদান দিয়ে সহযোগীতা করেনা। উপকারভোগী সরফুদ্দিন লস্কর অভিযোগ করে বলেন, আগে আমরা ঘর জমি ছাড়া ভূমিহীন ছিলাম, আমাদের এত কষ্ট দুঃখ ছিলোনা। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মনে করেছিলাম একটু মাথাগোঁজার স্থান পাওয়া গেল, খুশি হয়েছিলাম, এখন আমাদের পানির অভাবে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পাইনা সরকারি কোন অনুদান, না পাই স্থানীয় মানুষের কোন সহযোগিতা। বরং স্থানীয়রা সব সময় হুমকি ধামকি দিতে থাকে, এখন আমাদের কি উপায় হবে? যদি উপজেলা কর্তৃপক্ষের ঐ সব পরিবারগুলোকে প্রধানমন্রীর উপহার ঘর ও জমি দিয়ে তাদের সব দায়িত্ব যদি শেষ হয়ে যায় তবে তো অসহায় মানুষের কল্যাণ হলনা। সচেতন মহল মনে করে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্রীর উপহার জমি ঘর উপহার অসহায় মানুষদের দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবেনা, সার্বক্ষনিক তাদের খোঁজ খবর রাখাও উপজেলা প্রাশাসনের উচিৎ। প্রধানমন্রীর উপহার ঘর ও জমি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মৃত- আবুল হোসেন লস্করের ছেলে সরফুদ্দিন লস্কর, হাফিজুর মোড়লের ছেলে শাহ আলম মোড়ল, হবি সরদারের স্ত্রী আছমা বেগম, যশোর আলী খা এর ছেলে হেলাল খা, ও আব্দুল কাদের।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম, আমি খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমি নিজে দুইবার ওখানে গিয়েছি, কেউ আমাকে কিছুইতো জানায়নি, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি নলকূপ যদি নষ্ট হয়ে থাকে আমি ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা করব।