শাকুর মাহমুদ পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে ব্যাঙের ছাতারমতো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলাখালী ব্রীজ সংলগ্ন মেসার্স সততা ব্রিক্সের মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও নাসির উদ্দিন কারো তোয়াক্কা না করেই চালাচ্ছেন অপরিকল্পিতভাবে মেসার্স সততা ব্রিক্স নামে এই ইটভাটা। যার পাশেই রয়েছে সবুজ গাছপালা ঘেরা চারদিকে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধ আর ছিমছাম সাজানো গোছানো পরিবেশ প্রকৃতি। আর তাদেরকে ধংবস করতে ওত পেতে আছে ইটভাটা। যার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এতে পুড়ে যাচ্ছে ভাটার আশপাশের বসতি ঘর-বাড়ী। হুমকির মুখে রয়েছে নদী ও গ্রামীণ জনপদের জনস্বাস্থ্য। এ ছাড়াও দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে ধানসহ নানা ফসল। ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠা-াজনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। আবার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে (২০১৩) নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ভাটাই স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরের অতি সন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে। ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীরের মাটি, যা আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সম্প্রতি নীতি নির্ধারকদের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে আমাদের গ্রামবাংলার গৌরব উজ্জ্বল সৌন্দর্য হারাতে বসেছে মনে করেন এলাকার অনেকেই। গ্রামীণ জনপদের অপার সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী এলাকাবাসীর।