মাসুদ হোসেন খান :

মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার উত্তর রাজদী গ্রামের কালাম ঘরামীর সাথে লিটন ঘরামীর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। কালকিনি পৌরসভার উত্তর রাজদী কালকিনি ভূরঘাটা প্রধান সড়কের পাশে প্রত্যাশা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে গত (০২ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকেলে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভিক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

এসময় উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন ফকিরের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল ফকির,ইউপি সদস্য কামাল ফকির, শামসুল হক চৌকিদার,হালান সরদার, সোবাহান সরদার,খালেক সরদার, আলাউদ্দিন সরদার,ছালাম মোল্লা,সহ অনেকেই উপস্থিত থেকে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বক্তব্য দেন।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তব্যে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য কামাল ফকির বলেন, তিন বছর আগে কালাম ঘারামী তার ভাতিজা মোঃ লিটন ঘরামীর কাছে পৌরসভার উওর রাজদী মৌজায় ৪ শতাংশ জমি সাব কবলা বিক্রি করার কথা বলিয়া,২ লক্ষ টাকা শতাংশ দরে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করিয়া উক্ত জমির দাম ৮ লক্ষ টাকা কালাম ঘরামীকে পরিশোধ করা হয়।

পরে সে তার ভাতিজা লিটন ঘরামীর ক্ররায়কৃত ৪ শতাংশ জমি দলিল না দিয়ে ৩ শতাংশ জমি লিটনকে দলিল করে দেয় এবং বাকি ১ এক শতাংশ জমির দলিল পরে দিবে বলিয়া উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় মোঃ লিটন ঘরামী কে একটি এক শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় স্বাক্ষর করিয়া দিয়া বলে ওই ১ শতাংশ জমি আমি পরে দলিল করে দিবো।

ঘটনার দিন ভূরঘাটা সোহেল মার্কেটের সামনে আল আমিন এর চায়ের দোকানের সামনে লিটন ঘরামী এক শতাংশ জমি দলিল চাইতে গেলে কালাম ঘরামী ও তার মেয়ে ডলি আক্তার লিটন ঘরামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জমির দলিল না দেয়ার কথা সাফ জানিয়ে দেন পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে কাটাকাটির এক পর্যায়ে কালামের মেয়ে ডলি আক্তার লিটন ঘরামীকে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লিটন ঘরামী সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে ডলি আক্তার বাদী হয়ে শ্লীলতাহানি সহ বিভিন্ন ধারায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে শামসুল হক চৌকিদার বলেন, আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনা সবেই জানি অনেক বার শালিশ মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি কিন্ত কালাম ঘারামী শালিশ মীমাংসা মানেন না তিনি আরো বলেন, কালামের একটা মেয়ে আছে নাম তার ডলি আক্তার মেয়েটা খুবেই খারাপ মেয়েটার কারনে এলাকার যুবক ছেলেরা আতঙ্কে থাকে, আমারা এলাবাসী লিটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাই।

ভুক্তভোগী লিটন ঘরামী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি একজন অসহায় গরীব কৃষক আমি তিন বছর আগে ২ লক্ষ টাকা শতাংশ দাম নির্ধারন করে আমার ছোট চাচা কালাম ঘারামীর কাছ থেকে চার শতাংশ জমি ক্রয় করিলে তখন আমার চাচা কালাম আমাকে তিন শতাংশ জমি দলিল করে দিয়ে বলেন বাকি এক শতাংশ জমি অন্য দাগ দিয়ে পরে দলিল করে দিবেন কিন্তু তিনি বাকী এক শতাংশ জমি না দিয়ে উল্টা আমাকেই তার মেয়ে ডলিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে।

এই নিয়ে আমার সাথে বাদ বিতর্কের এক পর্যায়ে কালাম ঘরামীর মেয়ে ডলি আক্তার আমার গায়ে হাত তোলেন এবং আমাকে সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

আমি সাংবাদিক ভাইদের ও মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাই, আমর ক্রায়কৃত জমির দলিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।

এবিষয়ে কালাম ঘরামীর কাছে মোবাইলে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার কাছে যতটুকু জমি বিক্রি করেছি সেই জমির দলিল তাকে দিয়েছি এ ছাড়া তার কাছে আর কোন জমি বিক্রি করি নাই

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে ডলি আক্তার বাদী হয়ে আদালতে লিটন ঘরামী সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে মামলাটি কালকিনি থানায় তদন্তের জন্য আছে মিমাংসা হতে হলে থানায় মিমাংসা হবো।