নওশিন তাবাসসুমঃ
বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি একটি রক্তস্তরের সমস্যা যা জন্মের সময় হয়। থ্যালাসেমিয়া হলো একটি জেনেটিক রোগ।
এটি মূলত হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন তৈরির ক্ষেত্রে অক্ষমতা থেকে উদ্ভূত হয়। হিমোগ্লোবিন রক্তের লাল রক্তকণিকাদিতে পাওয়া যায় এবং সেটি অক্সিজেন সরবরাহ করে। থ্যালাসেমিয়ার কারণে এই হিমোগ্লোবিন প্রোটিন উপযোগী সংখ্যক তৈরি হয় না, যার ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিমাসে বা ১৫ দিন পর পর ১/২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।
আমি নওশিন তাবাসসুম, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগী। বর্তমানে ইডেন কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অর্নাস করছি। আমার ৯ মাস বয়সে এই রোগটি ধরা পরে। আজ প্রায় ২০ বছর যাবত আমি প্রতি মাসে ১ ব্যাগ রক্ত নিয়ে জীবন ধারণ করেই চলেছি।
প্রতিবছর ৮ ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। এটি থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো থ্যালাসেমিয়া রোগের ওপর সচেতনতা তৈরি করে মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে জানানো, যাতে আমার মতো আর একজনকেও এই সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতি সহানুভূতি ও পরিচর্যা বাড়ানো।
তাই আমি মনে করি, সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। এর জন্য সাধারণ মানুষের সাথে সাথে আমার মতো থ্যালাসেমিয়া রোগীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তবেই দেশকে থ্যালাসেমিয়ামুক্ত করা সম্ভব।