1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

বোরো সংগ্রহ শুরু, খারাপ চাল না কেনার নির্দেশ মন্ত্রীর 

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারিভাবে কোনো খারাপ চাল না কেনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যারা পুরাতন চাল ছাঁটাই করে নতুন করে বিক্রি করেন তাদের কাছ থেকেও চাল না কেনার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

রবিবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

 

সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে সারাদেশে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক বৈঠকে অংশ নিয়ে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী।

 

বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত মৌসুমে যারা চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে— এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স না থাকলে ধান ও চাল কেনা যাবে না।

 

তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪ লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক যদি ধানের দাম ঠিকভাবে না পায় তাহলে সরকার প্রয়োজনে ৭-৮ লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ত্রাণ চাল সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে

 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায়। তবে ধানের আদ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আদ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না।

 

তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা এরইমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সরিষাও উঠবে।

 

হাওরাঞ্চলে কৃষকরা বলছেন, তাদের যে উৎপাদন খরচ হয়েছে সে অনুযায়ী ধানের দাম কম। তারা ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একজন কৃষক। আমার উৎপাদন খরচ পড়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আমি ১২০০ টাকা মণ বিক্রি করছি।’

 

তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জানি না আপনি কোন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন।

 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো চাই কৃষক ভালো দাম পাক। ভালো দাম পেলে কেন কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে।

 

এ সময় তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেছিল দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। তাই আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট