মাগুরা প্রতিনিধি
প্রায় এক বছর আগে মাগুরা শ্রীপুর জেলা মহাসড়ক বাঁক সরলীকরণসহ সপ্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহনের জন্য ১৭৫.৪০.০০.০০০/- এক শত পচাত্তোর কোটি লক্ষ চল্লিশ লক্ষ টাকা ছাড় করা হলেও মাগুরা জেলা প্রশাসকের উদাসীনতায় ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকদের মধ্যে টাকাগুলো বিতরণ করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ভুমি মালিকরা।
তারা জানান গত ২৭/১০/২০২২ ইং তারিখে এল.এ-০৬/২০১৯-২০ নম্বর কেসের অধীনে (আওতায়দৌলতদিয়া-ফরিদপুর(গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদাহ-যশোর-খুলনা-মংলা (দিগরাজ) জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭) এর ৭৬ তম কি.মি. পল্লী বিদ্যু সংলগ্ন পারনান্দুয়ালী নামক স্থান হতে শুরু করে মাগুরা-শ্রীপুর (জেড-৭০১১) জেলা মহা সড়কের মঠবাড়ী নামক স্থানে মিলিত হবে)। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ (২০১৭)সালের ২১ নম্বর আইন এর ৮ ধারার (৩)(ক) ধারার নোটিশ নম্বর ৪৪২ তারিখ ২৮/০৯/২০২২খ্রি: ভুমি অধিগ্রহনের টাকা গ্রহনের নোটিশ জারি হয়েছে। যার সওজ স্মারক নং ৩৫.০১.৫৫০০.৪৪৩.১৪.০৮৭.২১.৩০৪১ এবং স্মারক নং ৩৫.০১.৫৫০০.৪৪৩.১৪.১০৫.২১.৫৯৮।
উল্লেখিত পত্রের আলোকে মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভুমি মালিকদের প্রতি চেক গ্রহনের নোটিশও জারি করা হয়। কিছু ভুমি মালিককে ভুমি অীধগ্রহনের টাকা (চেক) প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে সেটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে নোটিশ প্রাপ্তির পর ভুমি মালিকরা জেলা প্রশাসকের অফিসে ধর্ণা দিলেও তা;েদরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে ফাইলে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষর করছেন না।
সুত্রমতে,গত ১০/০৫/২০২৩ ইং তারিখে ফাইল রেডি করে জেলা প্রশাসকের বাসায় প্রেরণ করা হলেও অদ্য ১৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত তিনি সেই ফাইল স্বাক্ষর করেন নি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা অশেষ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এদিকে দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে জমির মূল্য ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি দ্রুত ভুমি মালিকরা জমি কিনতে না পারলে তাদের অতি: মূল্যে জমি কিনে বাড়ী তৈরী করতে হবে। এতেকরে তারা আরো অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও মাগুরা জেলা প্রশাসকের তড়িত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।