1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ!

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
  • ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

বিশেষ প্রতিবেদক

 

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ( সহকারী কেমিষ্ট) ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি ও অসামাজিক কর্মকান্ডের লিখিত অভিযোগ পাওয়াগেছে। প্রাপ্ত অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, তিনি ঘুস ছাড়া কোন ফাইল ওয়ার্ক করেন না। এ ছাড়া উধর্¦তন কর্মকর্তাদের দপ্তরে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিজের দখলে নিয়ে ইচ্ছেমত নোট লিখে রাষ্ট্রিয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের ফাইল ওয়ার্কেও হস্তক্ষেপ করেন। তার কাছে কোন ফাইল গেলে সেটি তিনি ফটোকপি করে অথবা মোবাইলে ছবি তুলে রেখে সেগুলো বাইরে পাবলিক,নৌযান মালিক, এজেন্ট বা কোম্পানীর কাছে পাচার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

এছাড়া দীর্ঘ ১৫/২০ বছর ধরে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করলেও তার কোন বদলী হয়না। সে কারণে তিনি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে থাকেন। তার অত্যাচারে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে কোন কর্মকর্তাই শান্তিতে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

এক কর্মকর্তার সাথে আরেক কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে তিনি দুই জনের কাছেই কান কথা লাগিয়ে সুবিধা হাসিল করে নেন। তার নৈতিক চরিত্র নিয়েও নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। এর আগে তিনি একজন মহাপরিচালকের সাথে কক্সবাজার গিয়ে হানিমুন করায় সেটি নিয়ে সাপ্তাহিক অপরাধচিত্র পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।

সাপ্রতিক কালেও তিনি নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের লাইট হাউজ নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি আবু হায়াত আশরাফুল আলমের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে এক বছর ধরে অবৈধ মেলামেশা করছেন বলে জানাগেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ক্যাপ্টেন আশরাফুলের সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সম্প্রতি নৌ পরিবহন অধিদপÍরের মহাপরিচালক বরাবরে জনৈক শাহাদত হোসেন ২ পাতার একখানা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ফাওজিয়া রহমানের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো: ফাওজিয়া রহমানকে দেশের পরিবেশ রক্ষার্থে ও দুষনমুক্ত রাখার স্বার্থে নদীর পানি পরীক্ষা নীরিক্ষার নিমিত্তে পরিবেশ রক্ষামুলক প্রকল্পকে রেভিনিউ বাজেটে স্থানান্তর করে এই অধিদপ্তরের আওতায় নারায়ণগঞ্জের সরকারী প্রতিষ্ঠিত ল্যাবরেটরীতে নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি সেখানে যোগদান না করে কোন এক অজানা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। অথচ: প্রধান কার্যালয়ে তার নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই। ফলে নদীর পানি দুষণমুক্ত কি না পরীক্ষা নীরিক্ষা করার সুব্যবস্থা থাকলেও সেটি ব্যবহার না করার ফলে কোটি কোটি টাকার সরকারী যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। কেমিক্যালগুলোও মেয়াদোত্তির্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আরো জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনার ফসল সমুদ্রে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মেরিণ একাডেমিতে প্রশিক্ষিত নারী কর্মকর্তাগনকে সিডিসি প্রদানে বাঁধার সুষ্টি করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।ফাওজিয়া রহমান । তিনি মেরিণারদের সিওপি সম্পর্কীয় বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত থেকে অবৈধপথে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ভুক্তভোগি মেরিণাররা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

ফাওজিয়া রহমান লাইট হাউজ নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি আবু হায়াত আশরাফুল আলমের সাথে অবৈধ শাররীক সম্পর্ক গড়ে তুলে কোভিড -১৯ সময়ে তার বউয়ের অনুপস্থিতিতে বৌদ্ধ মন্দিরের উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে নিয়মিত আসা যাওয়া ও গোপন মেলামেশা করতেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগকারী এই চরিত্রহীন নারী কর্মকর্তাকে প্রধান কার্যালয় থেকে অপসারণ করে বদলীকৃত পরিবেশ রক্ষামুলক প্রকল্পে পদায়ন করা ও তার অপকর্মগুলোর বিভাগীয় তদন্ত ও শাস্তির দাবী তুলেছেন।

এ বিষয়ে সহকারী কেমিষ্ট ফাওজিয়া রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কোন সাংবাদিকের সাথে তিনি কথা বলবেন না বলে লাইন কেটে দেন। মহাপরিচালকের বক্তব্য জানার জন্য তার দপ্তরের ফোনে যোগাযোগ করলে তার পিএ বলেন স্যার মন্ত্রণালয়ে জরুরী মিটিং এ আছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট