1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ছাত্রকে আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় এসআইকে বদলি

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মিথ্যা অভিযোগে সাদেক (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে রাতে আটক করে পরদিন টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এসআই লিটন মিয়াকে বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে, ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল আলীম।

রোববার (২৩ জুলাই) ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়াকে ভূঞাপুর থানা থেকে পার্শ্ববর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হয়েছে।
বদলির আদেশে বলা হয়, আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করে অত্র অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর আগে গত সোমবার (১৭ জুলাই) রাত প্রায় দেড়টার দিকে পূর্ব ভূঞাপুর এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে সাদেককে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চোর সন্দেহের অভিযোগে আটক করেন এসআই লিটন মিয়া। পরে তাকে থানায় অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে বন্দি রাখা হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সাদেকের বাবা আলীমের কাছ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া পার্শ্ববর্তী গোপালপুর থানার হেমনগর ফাঁড়ি থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভূঞাপুর থানায় যোগদান করেন। এরপর ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হলেও তদরির করে আবার গত ২০২২ সালে জুন মাসে তিনি ভূঞাপুর থানায় আসেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

সাদেকের বাবা আব্দুল আলীম বলেন, অভিযোগের পরে যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন তাই এ বিষয়ে আর লেখালেখি না হওয়াই ভালো।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে তাই অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সাদেক নামের ওই ছেলেকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করা হয়েছে। পরে প্রমাণিত না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি।

ভূঞাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটির তদন্ত হচ্ছে। তদন্তকালীন এসআই লিটন মিয়াকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট