সেই বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট মৎস্য অফিসার মাসুদ আরা মমি উপসচিব হওয়ার তালিকায় প্রথম দিকে
ক্ষমতার দাপটে চাকুরীকালের প্রায় শতভাগ সময় ২০বছর আছেন প্রধান কার্যালয়ে
নাম মাসুদ আরা মমি। জেলা মৎস্য অফিসার হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। নিজ জেলা ময়মনসিংহ। সরকারী চাকুরীতে প্রথম যোগদান করেন ৩১মে২০০৩ তারিখে সেই সুবাদে মৎস্য অধিদপ্তরে তার চাকুরীকাল ২০ বছর ৩ মাস প্রায়। ক্ষমতার দাপটে চাকুরীকালের প্রায় শতভাগ সময় ২০বছর আছেন প্রধান কার্যালয়ে। এমনকি তাবে বদলী করতেও কোন উদ্যোগ নেয়না কর্তৃপক্ষ। তার এই ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ? তবে বিভিন্ন কৌশলে সিনিয়রদের ম্যানেজ করে মৎস্য ভবনের প্রধান কার্যালয়ে আছেনই প্রায় ২০ বছর। সরকার আসে, সরকার যায়, বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট ২১ বিসিএসের এই নারী কর্মকর্তার কোন পরিবর্তন নেই। বহাল তবিয়াতে প্রধান কার্যালয়ে রাজত্ব করেই চলেছেন তিনি। একই ভবনে প্রায় দুই দশক রাজত্ব করেই চলেছেন। সরকারী চাকুরীতে সাধারনত একই স্থানে ৩ বছরের অধিক সময় থাকার বিধান না থাকলেও এই নারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ঘটে চলেছে ঠিক এর উল্টো। ৫ বছর পর পর যথা নিয়মে সরকার পরিবর্তন হলেও। তিনি ঠিকই থেকে যাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। মৎস্য অধিদপ্তরের চাকুরীর সুবাদে সকলকে ফিল্ডে চাকুরী করলেও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি প্রধান কার্যালয়ে করে নিয়েছেন যেন চাকুরীর স্থায়ী নিবাস। জনশ্রুতি আছে তিনি নিজ কর্মের থেকেও উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করতে বেশি বিজি থাকেন। যার কারনে যুগের পর যুগ, ধরে মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একের পর এক সুবিধাজনক চেয়ার লাফিয়ে লাফিয়ে পার করছেন দীর্ঘ কার্যকাল। আর এক এক করে প্রমোশন বাগিয়ে নিতেও তার কোন অসুবিধা নেই। যথা নিয়মেই তার প্রমোশন হচ্ছে। বর্তমানে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপ-প্রধান হিসাবে ইলিশ শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে সরকার মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষ, অভয় আশ্রম স্থাপন করা, জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, বিভিন্ন অভিজান পরিচালনাসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহন করেন। এসকল র্কাক্রমে তিনি রিমোট এলাকা পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ দুরবর্তী এলাকাতে অভিযান কিংবা কোন কার্যক্রমে যাননা বলে অনেকেরই অভিযোগ। তবে তিনি রাজধানীর আশেপাশে বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জে ইলিশের কার্যক্রমে গিয়ে ভুল করেননা মন্ত্রী, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে ফটো সেশনে অংশ নিতে। বলা যেতে পারে তিনি শুধুমাত্র ফটো সেশনে অংশ নিতেই এ নিকটবর্তী এলাকায় যান। একই সাথে মমির তেলবাজিও নেহাত ফেলে দেওয়ার মত না। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মৎস্য সপ্তাহের সমাপনি অনুষ্ঠানে মন্ত্রনালয়ের এক সিনিয়র অফিসার মাসুদ আরা মমিকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন। বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে অতিথিরা অনেকেই মুকটিপে হাসলেও সিনিয়র অফিসারের এমন মন্তবে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেননি। তবে ঐ অনুষ্ঠান স্থলের অনেকেরই প্রশ্ন ? মৎস্য অফিসার মাসুদ আরা মমি কি এমন বিশেষ কাজ করেছেন বা তিনি ছাড়া ঐ কাজ আর কেউ কোনদিন করেননি যার কারনে তাকে ইলিশের মা বলে আখ্যা দিলেন সিনিয়র কর্মকর্তা। আর একজন মানুষ কিভাবে মাছের মা হতে পারে ? জানাযায়, বিএনপি জামায়াতের আশির্বাদপুষ্ট জেলা মৎস্য অফিসার মাসুদ আরা মমি মৎস্য ক্যাডার পরিবর্তন করে এ্যাডমিন ক্যাডারে মাইগ্রেড হয়ে উপসচিব হওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে প্রথম দিকে। মৎস্য অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তারই অভিযোগ মমি একজন বিএনপি-জামায়াত ঘরনার কর্মকর্তা হয়েও একাই কিভাবে এতো সুবিধা ভোগ করছেন ? তার এই ক্ষমতার উৎস্য কোথায় ?
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমি বছরের পর বছর ঢাকার বাইরে মাঠ পর্যায়ে চাকুরী করে চলেছি, আমার হেড কোয়াটারের চাকুরী করার ইচ্ছা থাকলেও সেটা হবেনা। যাদের ক্ষমতার জোর আছে তারাই হেড কোয়াটারে চাকুরী করবে বলেও আক্ষেপের সাথে কথাগুলো বলেন এই কর্মকর্তা।