1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ফাঁকা জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে আলীকদমে অর্ধশত পাখি নিধন।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

 

প্রতি শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি বা পরিযায়ী পাখি এসে আমাদের বাংলাদেশে পাড়ি দেয় দেশের নানা প্রান্তের হাওর, বাঁওড়, বিলসহ অসংখ্য জলাশয় পাখিদের কুজনে ও প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরে ওঠে। এসব পরিযায়ী পাখি বরফজমা হিমালয়ের ওপাশ থেকে অত্যন্ত শীত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের দেশে চলে আসে তখনই এক শ্রেণির মানুষ পাখি শিকারে তৎপর হয়ে ওঠে যা অতন্ত্য গর্হিত কাজ।

 

২২ ডিসেম্ব আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ঞোমং হেডম্যানের জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পর কে বা কাহারা কীটনাশক ছিটিয়ে অর্ধশতাধিক পাখি নির্বিচারে নিধন করেছে।

 

‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এর শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা। কিন্তু এর প্রয়োগ আমরা খুব একটা দেখতে পাই না বললেই চলে। তবে আইনের সঠিক প্রয়োগ, জনসচেতনতা এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশও হতে পারে পাখির বড়ো অভয়াশ্রম।

 

স্থানীয়রা জানান, ভোরে ধানের ক্ষেতে অর্ধ শতাধিক পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কে এই কাজ করেছে আমরা বলতে পারিনা। তবে কাজটা ভালো হয়নি। অবলা প্রাণীগুলো কি অপরাধ করেছে?

 

চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, শীতকাল এলে আমাদের দেশে এক শ্রেণির মানুষ পাখি শিকারে তৎপর হয়ে ওঠে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। বিষয়টি আমাকে ব্যথিত করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঞোমং হেডম্যানের ধানের জমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরে পড়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলো। ব্যথিত মনে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করি। পাখি নিধনের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে আমি লামা বন বিভাগ ও আলীকদম থানাকে অনুরোধ করছি।

 

আলীকদম তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশের এক বড় সম্পদ। তারা শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বনের খাদ্য শৃঙ্খলে স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখা, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভিদের পরাগায়ন ও বীজের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পাখির। এরা জলজ পোকা, ধানের পোকা খেয়ে কৃষকের উপকার করে থাকে। পাখি প্রকৃতি ও মানুষের পরম বন্ধু।

 

তিনি আরও বলেন, পাখির ডাকে ভোর হয় আবার পাখির কলকাকলিতে পৃথিবীর বুকে সন্ধ্যা নেমে আসে। কোনো কোনো পাখি প্রহরে প্রহরে ডেকে আমাদের প্রকৃতির ঘড়ির কাজ করে থাকে। তাই যে করেই হোক পাখি বাঁচাতে হবে। যারা পাখি নিধন করছেন, তাঁদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট