1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

পাবনায় সিসার কারখানায় দগ্ধ ২, স্বাস্থ্য ঝুকিতে গ্রামবাসী।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

 

বুলবুল হাসান, পাবনা জেলা প্রতিনিধি : পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা বক্তারপুরে সিফা ব্যাটারি কারখানায় ফুটন্ত সিসায় দুই কর্মচারী দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে সিসার চুলী থেকে ব্যাক ফায়ার হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে । দগ্ধ দুই জন হলেন কামরুল ইসলাম (৪৫) এবং শুভ (৩৫)। লোকজন জানাজানি হওয়ার আগেই দগ্ধ দুই কর্মচারী কে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে

বলে গোপন সুএে জানা যায়। এছাড়াও

ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে

রেখেছেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

 

অনুসন্ধানে জানান যায় বিষাক্ত সিসার কারখানার কারণে আসে পাশের জমিতে ফসল হয় না। জমির ঘাস গরু ছাগল খেলেই

মারা যায়। সিসার ধোঁয়ায় ফলজ গাছের ফল

ধরে না। আশেপাশের মানুষ সিসার ধোঁয়ায়

বিভিন্ন জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান কিছু দিন আগেও নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তার। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতো। আবার রাস্তায় রাস্তায় তালের শাঁস বিক্রি করতো। কাঁচা মালের ব্যবসা করে আয় উপার্জন করে কোন মতে সংসার চালাতো সেই জয়দার কি এমন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেলো এত অল্প সময়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন। এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে প্রশাসন কে ম্যানেজ করে পরিবেশের ক্ষতিকরেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পএের দোহাই দিয়ে গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষ কে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলেছেন। কারখানার পাশেই রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , মসজিদ মাদ্রাসা, বাজার। ঘনবসতি পুর্ন গ্রাম হলেও জয়দারের ক্ষমতার কাছে গ্রামের মানুষ আজ অসহায় হয়ে পরেছে কেউ তার সামনে ভয়ে কথা বলার সাহস পায় না। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তি কে দাওয়াত দিয়ে তার বাড়িতে এনে খাওয়ায়ে ক্ষমতার জানান দেন এলাকায় । হঠাৎ করে এই জয়দার আলাঊদিনের চেরাগের দৈত্য আকৃতির গল্প কেও হার মানিয়েছে।। এখন সে শত শত কোটি টাকার মালিক। তাই শত কষ্টেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না গ্রামে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছদ্মনাম রুবেল জানান কারখানার ভিতরে রাতে খোলা অবস্থায় পুরাতন ব্যাটারি পুরিয়ে সিসা তৈরি করা হয়। এ সময় গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এ ধরণের সিসার খোলা চুলা আগেও ছিলো এলাকায় বিভিন্ন পএ পএিকায় নিউজ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে রাতে কারখানার গেট বন্ধ করে এ সকল অপকর্ম করেন কারখানায়। কেউ কিছু বলতে ভয়ে সাহস পায় না। কারণ তারা এলাকায় অর্থশালী অথচ কিছু দিন আগেও

দিন মুজুরী করতো। এত অল্প সময় এত টাকার মালিক বনে যাওয়ার পিছনে অন্য কোনো অবৈধ্য উপায় থাকতে পারে বলে মনে করেন।

 

সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়,

কারখানাজুড়ে বসানো হয়েছে সিসার বার তৈরির মেশিন। সেসব মেশিনে উৎপাদিত সিসার বার, কাঁচামাল ও কয়লা কারখানার পুরো শেড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

 

কয়েকজন শ্রমিক কোনো নিরাপত্তা সামগ্রী ছাড়াই কাজ করছেন বিষাক্ত এ কারখানায়।

স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়েই কাজ করছে নিরুপয় হয়ে শ্রমিকরা। বর্তমানে যেখানে বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ বিনষ্ট কারিদের উপর কঠোর থেকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন পরিবেশ অধিদপ্তরকে

সেখানে ঘনবসতি পূর্ণ গ্রামের ভিতর

কিভাবে প্রশাসন কে ম্যানেজ কর বিষাক্ত

সিসার কারখানা চালায় জনমনে প্রশ্ন।

কত টাকাই দিয়েই কি ভাবেই তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়। যে সিসার ধোঁয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে শিশু কিশোর থেকে বৃদ্ধ সহ সাধারণ মানুষ। সিসার ধোঁয়ায়

মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হয়।

বর্তমানে এলাকায় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই শিল্প কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে ও মরণ ফাঁদ থেকে বাঁচতে চায় সাধারণ জনগণ। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনের কাছে এই কারখানা বন্ধের ও আইনের আওতায়

আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট