1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মুরাদনগরে নুরুনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির প্রবেশপত্র আটকে ৮০০ টাকা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।

জুয়েল রানা
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৪ বার পড়া হয়েছে

 

সাখাওয়াত হোসেন (তুহিন)

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নুরুনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাছিনা আক্তারের বিরুদ্ধে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রেখে কেন্দ্র ফির নামে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযাগ পাওয়া গেছে। তবে প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাছিনা আক্তারের দাবি, ম্যানজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকা নওয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের এমন অযৌক্তিক বলে দাবি করে অস্বীকার করেছেন কমিটির সদস্যরা। এ দিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ফরম পূরণের সময়-ই প্রবেশপত্রের ফি নেওয়া হয়েছে। প্রবেশপত্রের নামে নতুন করে ফি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয় সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে সঠিক তথ্যের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থানেওয়া হবে।

 

 

আগামী ১৫ ফব্রুয়ারি সারা দেশে এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে বলে সূত্রে জানা যায়। এবার ২০২৪ সালে মুরাদনগর নুরুনাহার বালিকা উচ বিদ্যালয় থেকে এবার সর্বমাট ২৫৮ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। প্রবেশপত্র আটকে রেখে মাত্রাতিরিক্ত ফি নেওয়ায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরোপ প্রতিক্রিয়ার সষ্টি হয়ছে। গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার নুরুনাহার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের চত্বরে গিয় অভিযাগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ফরম পূরণের সময় পুরো টাকা দিয়েছি। তবুও প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আক্তার আমাদের মেয়েদের প্রবেশপত্র আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে ৮০০ টাকা করে নিয়েছেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। বাইজিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছোট বোন পরীক্ষা দিবে, আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রবশপত্র নিত গেলে তিনি ৮০০ টাকা চেয়েছেন, বলেছেন ১০ টাকাও কম হবে না।

 

 

ফরম পূরণের পর প্রবেশপত্র জিম্মি করে টাকা আদায় বিধিসম্মত কি না, ‘এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আক্তার বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যাওয়ার সুযাগ নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি আক্তার হাসেন মেম্বার বলেন, প্রবেশপত্রের জন্য ফি নিয়েথাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। ম্যানজিং কমিটির সভায় এ ধরণর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অপর সদস্য আবিদ আলী বলেন, আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। আরো দুইজন অভিভাবক সদস্য মাহাম্মদ আলী ও আক্তার হোসেন ভূইয়া বলেন, তারা এ বিষয় কিছুই জানেন না। কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবেশপত্র আটকে টাকা নেওয়ার কোন সুযাগ নেই। বিষয়টি উপজলায় পাঠান হয়ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, ‘প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় টাকা নেওয়ার বিষয়টি অনৈতিক। আমার কাছেও এ বিষয়ে একাধিক অভিযাগ এসেছেে। লিখিত অভিযাগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থানেওয়া হবে। মুরাদনগর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন আক্তার নিপা বলেন, আমি বিষয়টি দখতেছি। উল্লখ্য, প্রধান শিক্ষক সৈয়দা হাসিনা আক্তারের বিরুদ্ধে স্বেছাচারিতা, বিভিন্ন প্রকার দুর্নিতি, আর্থিক অনিয়ম এবং নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযাগ রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট