1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মুরাদনগরে ভূমিখেকো মোশারফের দখলে তিন ফশলি জমি লন্ডভন্ড।

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

সাখাওয়াত হোসেন (তুহিন)

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাঁশকাইট গ্রামের মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র ভেকু দিয়ে রোপনকৃত জমির উর্ভর মাটি কেটে ইটভাটাসহ ভরাট করছে কোন না কোন ফসলি জমি। মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের তান্ডবে ধ্বংস হচ্ছে কোটি টাকার পাঁকা রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা আবার রুদ্র উঠলে ধুলায় সৃষ্টি হচ্ছে পথচারীদের দুর্ভোগ, আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ ব্যধিতে। ভূমি খেঁকুদের এখনি রুঁখে দিতে না পারলে কৃষি জমি ধ্বংসের পাশাপাশি অসহণীয় দুভোর্গে পড়বে এলাকার জণসাধারণ। এ ভাবে কৃষি জমি বিলীন করলেও প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিজের স্বার্থের জন্য এ ভাবে জমির মাটি কেটে নিলে কৃষি নির্ভর এদেশের পরিনতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ভূমিখেকো মোশারফ বাশঁকাইট গ্রমের আব্দুর রশিদের ছেলে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাশঁকাইট কলেজের উত্তর পাশের্ব রোপনকৃত ফসলী জমি থেকে প্রতিদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ২০-২৫টি ট্রাক্টরে বহন করে ইঁভাটাসহ বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করছে। রোপনকৃত জমি থেকে মাটি কাটায় নানা মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মাটি বেচা-কেনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় ভূমিখেকুদেরকে দমানো যাচ্ছেনা। তাই ফসল ধ্বংস করেই এরা মাটি বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা ভয়েও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। বেপরোয়া সিন্ডিকেটে কৃষি নির্ভর কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। কৃষি জমির মালিক লাল মিয়া বলেন, আমি জমির মাটি মোশারফের কাছে বিক্রি করেছি।  তার সাথে কথাছিল রোপকৃত ধান কাঁটার পরে সে মাটি নেবে। কিন্তু ফসলের দাম দিয়ে দিবে বলে সে এখনি মাটি কাঁটা শুরু করে দিয়েছে।

 

এ বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, আমি লাল মিয়ার কাছ থেকে মাটি কিনেছি। মাটিতে ধান রোপন থাকলে আমার কিছু করার নাই। রোপনকৃত ফসলী জমি থেকে কেন মাটি কাটছেন? এমন প্রশ্নে মোশারফ হোসেন বলেন, সকল সেক্টর ম্যানেজ করেই আমি মাটি কাঁটছি মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে জেনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট