1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেই জিয়াউল কাজ কর্ম ছাড়াই তদবিরবাজিতে ব্যাস্ত সারাক্ষন, দ্রুত বদলী করার দাবি

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

 

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তদবিরবাজ কর্মকর্তা জিয়াউল অধিদপ্তরে সুনির্দিষ্ট কোন কাজ না থাকলেও তার ব্যাস্ততার যেন শেষ নেই। অফিস টাইমেও তদবিরবাজিতে মন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন নেতার পিছন দাপিয়ে বেড়ান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সেই তদবিরবাজ কর্মকর্তা জিয়াউল হক রাহাত। বিশেষ কোন কাজ কর্ম ছাড়াই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে। আর কোন কাজ না করেই লবিং গ্রুপিং এবং বিভিন্ন ধান্দা নিয়ে ব্যাস্ত সারাক্ষন। নতুন মহাপরিচালকও যেন তাকে নিয়ন্ত্রনে অনেকটা ব্যার্থ। দেশের বিভিন্ন স্থানে শুন্য পদ থাকার পরেও কেন তাকে পদায়ন করা হচ্ছে না ? এমন প্রশ্ন ডিএলএস এর অধিকাংশ কর্মকর্তাদের। তাই জিউলকে দ্রুত বদলী করার দাবি জানিয়েছেন তারা। উপরের দিকে কার সাথে যেন তার লবিং সেই ভাবনার থেকে ভয়ে জিয়াকে নিয়ে কথা বলতে কেও সাহস পায়না কেহ। তাইতো তার কাজের কোন মনিটরিং নেই।জিয়াউল কখন অফিসে আসে, আর কি কাজ করেন ? আর কাকে বলে বাসায় যায় কেহই তার হিসাব রাখেনা। এমনটাই মনে করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জিয়াউলকে নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন কাজে আসছেনা। জিয়াউলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকে এমন ফ্রি স্টাইলে চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত প্রকল্পের পিডি থাকাকালে ব্যাপক লুটপাট, দুনীতি আর অনিয়ম করার অভিযোগ মাথায় নিয়েও নতুন প্রকল্পের পিডি হতে কম দৌড়াননি জিয়া।

সূত্র জানায়, জিয়ার তদবিরের দৌরাত্ব এতো বেশি যে সাবেক মন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করিয়ে গত সাংসদদের শপথের আগের দিন রাতেই সাবেক ডিজি এমদাদুল হক তালুকদার কে জোর করে তড়ি ঘড়ি করে নিজের নাম পিডি প্রস্তাবে যুক্ত করে মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বাধ্য করে তদবিরবাজ কর্মকর্তা জিয়াউল।

সূত্র জানায়, উপকুলীয় চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরচিালক জিয়াউলের দেশের বাড়ি বরিশাল এলাকায় হওয়ায় নিজেকে সাবেক প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিতে সারাক্ষন ব্যাস্ত থাকতেন এ চতুর কর্মকর্তা। অফিসের দাপ্তরিক কাজ বাদ রেখে সবসময় লবিং গ্রুপিং নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তার প্রকল্প মেয়াদ শেষ নোটিশ দেয়া হলেও প্রকল্পের রুম ছাড়ছেন না এই জিয়া। প্রকল্প চালানোর সময় নানান দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন এই কর্মকর্তা। উপকুলীয় চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক উপ-প্রকল্প পরিচালক থাকা কালে নানান দুর্নীতি অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে এই অসাধু কর্মকর্তা জিয়াউল। অধিদপ্তরের অফিসারদের মাঝে গুঞ্জন আছে জিয়াউলের মাষ্টার মাইন্ড তদবিরের কারনে তৎকালিন পিডি নিতাই চন্দ্র দাসকে তুচ্ছ কারনে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয় মন্ত্রনালয়। পরবর্তীতে জিয়াউল নিজেই পিডি হয়েছেন একই প্রকল্পে।

উল্লেখ্য এর আগে উপকুলীয় চরাঞ্চলের সমন্বিত প্রণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিয়োগ উঠে। কাজ না করে সম্পূর্ণ বিল ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে তার প্রকল্পে।

একটি সুত্র দাবি করেন, প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক নিজেই ঠিকাদার সেজে প্রকল্পের কাজও করেছেন এবং এই বিলের টাকাও তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। তদন্ত করলে যার প্রমান মিলবে। বরিশাল এলাকায় বাড়ি হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রকল্প ভিজিটের নামে নিজ বাড়ি অবস্থান বেশি করতেন এ কর্মকর্তা এছাড়া কক্সবাজার, নোয়াখালি এলাকায় প্রকল্পের এলাকা হলেও সেখানে তিনি নামে মাত্র ভিজিট করেন। তাছাড়া খামারি বাছাই করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রকল্পের সুফলভোগী খামারিদের যে ঘর বিতারন করা হয়েছে সেটাও খুব নিম্নমানের হওয়ায় প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অধিকাংশ ঘরের অস্তিত্ব বিলিন। সুফল ভোগীদের যে হাঁস দেওয়া হয়েছে তারও অধিকাংশই আর বেঁচে নেই।

উল্ল্যেখ্য বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে সুন্দরী এক নারীকে প্রকল্পের কার্যদেশ দিয়ে যোগ সাজসের মাধ্যমে টাকা আতœসাত করার অভিযোগ এই দুনীতিবাজ চতুর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের প্রচার প্রচারনার জন্য ভিডিও চিত্র নির্মাণ না করেই যোগসাজসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিল আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে। সূত্র আরো জানায়, অনন্যা ভিষন নামে একটি ইউটিউভ চ্যানেলে নারীর ক্ষমতায়ন নামের একটি ভিডিও চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, উক্ত ভিডিও তে প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক কে দেখা যায় প্রশিক্ষকের ভুমিকায় প্রশিক্ষন দিতে। এবং একই ভিডিওতে উপকুলীয় চরাঞ্চলের প্রণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রচার প্রচারনার মেসেজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঐ ভিডিওটি সম্পুর্ন নির্মান ও প্রচারনার ব্যায় বহন করেছের এ সি আই এনিমেল হেলথ নামের বেসরকারী সংস্থা। যার ফলে উক্ত ভিডিওটিতে শিরোনাম করে বলা হয়েছে এ সি আই এনিমেল হেলথ নিবেদিত আর সম্পূর্ন ভিডিওটিতে এসিআই লোগো ব্যাবহার করা হয়েছে। গোপন অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হক ঐ ভিডিওটির নির্মান ও প্রচারের দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাওচারের মাধ্যমে সমাপূর্ন টাকা আতসাদ করেছে। দায়সারা একটি ভিডিও দেখানো হয় যেটাতে এসিআই কোম্পানি নিবেদন করেছে বলে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ ব্যাপারে এসিআই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে সত্যতা পাওযা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট