গত ১৯ মার্চ ২০২৪ দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা/সমমান পদ(লিভ, ডেপুটেশন, ট্রেনিং রিজার্ভ/সমমান পদ)-ডাঃ এস এম জিয়াউল হক রাহাত । তিনি তার প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, গত ১৯/০৩/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আপনার বহুল প্রচলিত পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে কিছু সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদের বিষয়ে আমার বক্তব্য আপনার বহুল প্রচলিত পত্রিকায় প্রকাশের জন্য এ প্রতিবাদলিপিটি প্রেরণ করেছি।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি কাজকর্ম ছেড়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করে বেরাই। আমি এধরণের কোন তদবিরের সাথে জড়িত নই বা সিভিল সারভেন্ট হিসেবে এটা আমার এখতিয়ারও নয় বা কোন নেতার কাছেও তদবিরের জন্য আমি যায় নি। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরকার যখন যে দায়িত্ব প্রদান করবেন সেটা পালনই আমার একমাত্র দায়িত্ব। এখন রমযান মাসে আমাকে আমাদের মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর কতৃক গৃহীত ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়কেন্দ্রে মনিটরিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আমি সেটা দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার চেষ্টা করছি। বলা হয়েছে কিছু কিছু কর্মকর্তা আমাকে বদলির জন্য বলেছেন। বদলির বিষয় সংশ্লিষ্ট অধিদক্তর ও মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এখানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ ব্যতীত অন্য কোন কর্মকর্তা কিছু বলতে পারেন না। প্রকাশিত সংবাদে আমি প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভবে বলতে পারি যে কোথাও আমার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সমাপ্ত করেছি। বলা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী মহোদয়ের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে আমি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করি। সিভিল সার্ভিসে এ ধরণের কোন বিধান না থাকায় আমি এগুলোর সাথে জড়িত নই। এ ধরণের কোন মানসিকতাও আমি পোষণ করি না। বলা হয়েছে প্রকল্প শেষ হলেও আমি রুম ছাড়ছি না। আমাদের প্রকল্পের অডিট কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত রুম ব্যবহারের জন্য আমরা মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরাবর চিঠি প্রদান করেছি। বলা হয়েছে আমি নতুন করে প্রকল্প পরিচালক হওয়ার নিমিত্তে তদবির করেছি। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এর এখতিয়ার। এখানে তদবিরের সুযোগ নেই। বলা হয়েছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডাঃ নিতাই চন্দ্র দাস আমার কুটচালে সাসপেন্ড হয়েছেন। ডাঃ নিতাই চন্দ্র দাস নিজস্ব ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার কারনে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কারণে চাকুরী থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন। এখানে অন্যকারো সংশ্লিষ্টতা নেই। বলা হয়েছে আমাদের একটি নাটকে এসিআই কোম্পানির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে ও বিল ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। এখনে চূড়ান্ত কপিতে এসিআই বা অন্য কোন কম্পানির লোগো ব্যবহৃত হয় নি। কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান চুক্তিপত্র অনুযায়ী বিল পেয়েছেন। এখানে ভাগবাটোয়ারার কোন সুযোগ নেই। বলা হয়েছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীর নিম্নমানের ঘর ও উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন পর্যায়ে গুণগত মান বজায় রক্ষার ক্ষেত্রে কোনধরণের আপোষ করা হয় নি। তাই নিম্নমানের ঘর বা উপকরণ বিতরণের বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমাদের প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে দৈনিক যুগান্তর, ইত্তেফাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জনকন্ঠ, কালের কন্ঠ, মানবজমিন, আমার সংবাদ, বাংলা ট্রাইবুনাল, ঢাকা মেইল, ঢাকা পোস্ট, বার্ত ২৪, জাগো নিউজ, সিটিজেন টাইমসসহ প্রায় ৩৮ টি মিডিয়ায় প্রায় ৮৫ টি প্রতিবেদন ছাপানে হয়েছে।