স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোঃ সম্রাট তালুকদার
২০ দলের বিশ্বকাপ এখন পরিণত হয়েছে ৪ দলে। সুপার এইটের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সেমিফাইনাল খেলছে আফগানিস্থান। কি ছিল এই দলটির ? আর কি ই বা আছে ? তাদের নেই কোন নিজস্ব আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম , এখনো পর্যন্ত ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলার স্বাদটুকুও পাইনি তারা। তবে, কিছু করে দেখানোর মানুসিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে তার এখন সেমিফাইনালে।
যদিও পথটা মোটেই সহজ ছিলো নাহ , গ্রুপ পর্বে ও সুপার এইটে বাঘা সব দলকে হারিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরী করেছেন আফগানরা। এবার সেমিফাইনালেও চমক দেখিয়ে বাজিমাত করতে চায় আফগানিস্তান। ফাইনালের টিকিট পেতে মরিয়া রশিদ বলেন, ‘আমাদের সামনে ফাইনালে খেলার সেরা সুযোগ এসেছে। আমরা ফাইনাল ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। পুরো দল উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী। সেমিফাইনালে সেরা ক্রিকেট খেলতে মরিয়া তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী দল, কিন্ত আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব নয়।’
অন্যদিকে, এই আসরে অপরাজিত দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে প্রোটিয়ারা, গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইটে সব গুলোতে জয় পেলেও দাপুটে কোন জয় পায়নি তারা, ভাগ্যের সহায়তা ও হাবু ডুবু খেতে খেতে সেমিফাইনালে পৌছেছে দলটি।
ক্রিকেট বিশ্বে কথা আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল পার করতে পারে না । এর আগে, ৭ বার সেমিফাইনাল খেললেও পেরোতে পারেনি সেমির গন্ডি । প্রতি আসরেই গ্রুপ পর্বে দাপুটে জয় দিয়ে শুরু করলেও সেমিতে আসলেই ঠেই হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ফাইনালে খেলতে না পারার বন্ধ্যাত্ব এবার ঘুচাতে মরিয়া অষ্টমবারের মত আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিতে উঠা দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন মার্করাম বলেন, ‘অতীতের পরিসংখ্যান নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের সামনে এখন নতুন একটি ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা। আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমান দিয়েছে তারা। আমরাও আফগান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান। দু’বারই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হওয়া ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।
আগামীকাল ২৭ জুন বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬ টায় ওয়েস্ট-ইন্ডিজের ব্রাইন লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়তে মাঠে নামবে প্রোটিয়া ও আফগান দল ।
কে খেলবে ফাইনাল ? কে তৈরী করবে নতুন ইতিহাস ? কে হাসবে শেষ হাসি ? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে কাল ম্যাচের শেষ বল অবধি ।