1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁবাজি করতে গিয়ে হামলার স্বীকার সোর্স সোহাগ

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

 

 

কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার,মুরাদনগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে সোহাগ(৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সোর্স সোহাগ দেবিদ্বার উপজেলায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে দীর্ঘদিন যাবত ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে আছে৷ সম্প্রতি মুরাদনগর উপজেলার পাইব গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া থেকে ২৪ এপ্রিল(২৫) ১ লক্ষ টাকা ২২ হাজার টাকা চাদাঁ নেয় সে৷ পরে ২৮ এপ্রিল রাতে আরো ১ লক্ষ টাকা আনতে গিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে স্থানীয়দের গনধোলাইয়ের স্বীকার হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিভিন্ন থানার ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি
সোর্স সোহাগ দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ সহ সেনাবাহিনীর বিশ্বস্থ সোর্স পরিচয়ে বিভিন্ন স্পটে চাঁদাবাজি করছে। অসাধু ব্যবসায়ী, মাদকারবারী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি অনেক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা অভিযোগে জেলও খেটেছেন।

ভোক্তভোগী জাকারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত এপ্রিল(২৫) ২৪ তারিখ আমি দেবিদ্বার দিয়ে যাওয়ার সময়, মাটিয়া মসজিদের সামনে থেকে সোর্স সোহাগের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায়৷ পরবর্তীতে পুনরায় আবারো ১ লক্ষ টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুকমী ধামকী দিতে থাকে পরবর্তীতে সে কুমিল্লা সদর উপজেলার নিশ্চিতপুর এসে মাদক সেবন করে এলোপাতাড়ি গালাগালি করতে থাকলে পরে স্থানীয়রা মিলে তাকে গণধোলাই দেয়।

কোম্পানিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মোঃ অলি জানান, দীর্ঘ ৪ মাস আগে সোর্স সোহাগ আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করে, আমি তাকে টাকা দেইনি৷ যার কারনে ২০০ পিস ইয়াবা আমার ঘরে রেখে আমাকে সেনাবাহিনী দিয়ে আটক করে মিথ্যা মামলা দেয়। তার চাদাঁবাজিতে মানুষ অতিষ্ঠ।
সচেতন নাগরিকরা জানান,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নিয়মিত ও যাচাইযোগ্যভাবে নিবন্ধিত সোর্স তালিকা থাকতে হবে।অস্থায়ী বা পরিচয়বিহীন সোর্সদের কার্যক্রমে নিরুৎসাহিত করতে হবে।প্রতিটি সোর্সের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে হবে।সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি করলে তা প্রতারণা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে৷

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সুত্র জানায়,সোহাগ নামে কোনো সোর্স নেই৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ চাদাঁবাজি করে তাকে আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোর্পদ করার আহব্বান জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট