নড়াইল প্রতিনিধি:
কালিয়া উপজেলার কুলশুর মৌজার ১০৬৪ নং দাগের ৩০ শতক সরকারি তালিকাভুক্ত জমি নিয়ে তীব্র বিরোধ ও প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ খোরশেদ শেখ এই জমি ডিসিয়ার (খাস দখল) এর মাধ্যমে ব্যবহার করে আসলেও, গত বছর মিলন চন্দ্র পাল নামে এক ব্যক্তি কোর্টে জমিটির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। কোর্ট ১৪৪ ধারা জারি করে কালিয়া ভূমি অফিসের নায়েব আবদুর রহমান খানের উপর তদন্তের দায়িত্ব দেন। তবে, ৬ মাস পার হলেও নায়েব কোনো রিপোর্ট পেশ করেননি, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সাংবাদিকদের তদন্তে জানা গেছে, ১০৬৪ নং দাগে মোট ৬৭ শতক জমির মধ্যে ৩৭ শতক মিলন চন্দ্র পালের মা কালিদাশি পালের নামে রেকর্ড থাকলেও, বাকি ৩০ শতক ভিপি (ভূমি পরিষদ) তালিকাভুক্ত। ১৯৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী, মিলন চন্দ্রের পরিবারের মালিকানা শুধু ৩৭ শতকে সীমাবদ্ধ। তবে, তারা দলিলবিহীনভাবে বাকি জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয়রা দাবি করেন, মিলন চন্দ্র ভূমি অফিসের নায়েব আবদুর রহমানকে টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, যার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্ত বিলম্বিত করা হচ্ছে। ১৯৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী, কালিদাশি পাল উক্ত দাগ ছাড়াও ৪৭৯, ১২১৩, ১২১৫ দাগে মিলিয়ে ৪৭ শতক জমির মালিক ছিলেন। দলিল অনুযায়ী, ১০৬৪ দাগে ৩৭ শতকের বেশি জমি তাদের মালিকানায় থাকার সুযোগ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খোরশেদ শেখ আইনসম্মতভাবে এই জমি ব্যবহার করছেন। টাকার বিনিময়ে নায়েব ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করছেন।” আবদুর রহমান খান নামক নবাগত নায়েব এর আগেও একাধিক মানুষকে হয়রানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে নায়েব আবদুর রহমান বলেন, “আমি এখনো সঠিক তথ্য পাইনি, তাই রিপোর্ট দাখিল করতে দেরি হচ্ছে। আমি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করছি না। তবে এই সামান্ন রিপোর্ট দাখিল করতে এত সময় কেন লাগছে জানতে চাইলে তার কোন সৎ উত্তর তিনি দিতে পারেন নাই।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে তদন্তে দেরি হলে জমি দখল ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।