সক্রিয় ও পেশাগতভাবে নিয়োজিত সাংবাদিকদেরকেই প্রেসক্লাবের সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এটাই ছিল মিটিং এর মূল এজেন্ডা।

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার
২৫ শে জুন ২০২৫ ইং (বুধবার)

রংপুর প্রেস ক্লাবে নতুন সদস্যপদ প্রদানের চলমান প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রংপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কোন কোন সিনিয়র সাংবাদিকের প্রভাব খাটানোর খবর নিয়ে সরব হন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতারা অভিযোগ করেন, কিছু প্রভাবশালী সিনিয়র সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তি, নিজেদের পছন্দের লোকজনকে সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নানা রকম চাপ ও প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ উঠেছে । একই সাথে প্রকৃত ও সক্রিয় সাংবাদিক, যারা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
রংপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন মনে করে, প্রেস ক্লাব কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি পেশাগত মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতীক। এক্ষেত্রে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— পিআইবি আইন ২০১৮-এর ধারা ২(৮) অনুযায়ী কেবলমাত্র সক্রিয় ও পেশাগতভাবে নিয়োজিত সাংবাদিকদেরই সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কোনো প্রকার চাটুকারিতা, রাজনৈতিক আনুগত্য কিংবা কেবল কার্ডধারিতার ভিত্তিতে সদস্য মনোনয়ন হলে, তা হবে সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকি এবং ‘২৪-এর চেতনার’ পরিপন্থী।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, এ বিষয়ে যদি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হয়, তাহলে সাংবাদিক ইউনিয়ন গণতান্ত্রিক ও আইনানুগভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নেবে। একই সঙ্গে, ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়, যারা সদস্যপদ যাচাই ও তালিকা প্রকাশ পর্যবেক্ষণ করবে।

২৪ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে সভাপতি মীর আনোয়ার আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জি এম জয়, অন্যন্যের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম বাবলা, লোকমান ফারুক, আশরাফুল আলম(আপন),আবু রায়হান,জেনিফা ইয়ামিন লিনা, সৈয়দা কনক শিল্পি আক্তার, মো: রাকিবুল হাসান পরাগ, মোঃ আব্দুল মাবুদ, মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, মিজানুর রহমান প্রমুখ।