স্টাফ রিপোর্টার :
আমিনুল ইসলাম একজন গুণী প্রধান শিক্ষক। নিজ বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায়। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আন্দিউড়া উম্মাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। যোগ্যতা, মেধা, দক্ষতা এবং সেবায় একজন গুণী প্রধান শিক্ষক । শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রিয় হেড স্যার তিনি। তবু তাকে সহ্য করতে হয় শত অপমান আর অপবাদ।
২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক পদে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী আন্দিউড়া উম্মাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে পেয়ে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই পাঠদানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা,আধুনিক ভবন নির্মাণ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, অভিভাবক সমাবেশ, অনলাইনে বেতন আদায় সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পাদন করেন তিনি। পাঠদান কার্যক্রমে শৃঙ্খলা থাকায় পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে পরপর দুইবার প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন তিনিও। তার এই ভালো কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর নিকট হয়ে ওঠেন প্রিয় হেড স্যার।
এত সফলতা থাকার পরেও সম্প্রতি তার পেছনে শুরু হয় মিথ্যা অভিযোগ, অপমান আর অপবাদ। এসব সহ্য করেই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গত ১৬ জুন প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়ার নেতৃত্বে ১৪ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয় ।সহকারী প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়ার নেতৃত্বে স্কুলে তৈরি হয় গ্রুপিং।ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে লেখাপড়ার পরিবেশ।হুমকির মুখে পরছে প্রতিষ্ঠানের সুনাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার বলেন “প্রধান শিক্ষক একজন ভালো মানুষ । তার দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থ আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ তার নেই। কারণ প্রতিষ্ঠানের সকল বেতন অনলাইনে আদায় হয়। যেসকল অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে যদি তারা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৪ জন শিক্ষক কর্মচারী মিলে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিয়েছে। এর সঠিক তদন্ত হলেই সকল সত্য বেরিয়ে আসবে। শিক্ষার পরিবেশ ঠিক করার জন্য ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। ”
প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “আমি আমার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দিন দিন প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।প্রতিষ্ঠানের এ উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করার জন্য কয়েকজন কুচক্রী শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে অন্যদেরকে জোর করে একত্রিত করে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে।আমি চাই এ অভিযোগের সঠিক তদন্ত হোক। সঠিক তদন্ত হলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব। সকল অসহযোগিতা এবং সমস্য মোকাবেলা করে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি কাজ করে যাব। “