1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

নড়াইলে এইচএসসি পরীক্ষায় সেট বিভ্রাট: লক্ষীপাশা কলেজে ৪ নম্বরের বদলে ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা, সচিবসহ দুইজন বরখাস্ত

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার:

নড়াইলের লোহাগড়ায় লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় সেট বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। নির্ধারিত ৪ নম্বর সেটের পরিবর্তে ভুলবশত ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এদিন ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ২ নম্বর সেটের প্রশ্নপত্র।

পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা অন্য কলেজের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্নপত্র মিলিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে। তখনই সেট ভিন্নতার বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া খানম বলেন, “ভুল সেটে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আমরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর জানতে পারি। এতে আমরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে পড়ে যাই। আমাদের উত্তরপত্র কীভাবে মূল্যায়ন হবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা করছি।”

এ ঘটনার পর শিক্ষক ও অভিভাবকরা কলেজ কেন্দ্রে জড়ো হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়।

ভুলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ দুজনকে বরখাস্ত ও শোকজ করেছে।

তবে, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন, নেওয়া প্রশ্নপত্র অনুযায়ীই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে কেন্দ্র সচিব ও লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজল কুমার বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। একইভাবে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রিয়াদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট মহলের অবহেলার কারণে এ ধরনের ভুলে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থায় ধস নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক অভিভাবক। তারা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট