উত্তর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কালিহাতি উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আজিজুর রহমান তোতা তিনি ঠিকমতো অফিস করেন না এতে করে সেবা নিতে আসা চরম জনগন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জানা যায় এডভোকেট আজিজুর রহমান তোতা এর ভাতিজা শামীমকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চালানো হচ্ছে। শামীম নিজের খেয়াল খুশির মত ইউনিয়ন পরিষদ চালিয়ে যাচ্ছে। অত্র ইউনিয়নে নয়টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মৌখিক দালাল নিয়োগ করে দিয়েছেন।তাদের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন হয়। তা না হলে সেবা নিতে আসা মানুষকে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়। চেয়ারম্যানের ভাতিজা শামীম তাদেরকে বলে আপনি কোন ওয়ার্ডের লোক তার মৌখিক দালালের মাধ্যমে কাজ নিয়ে আসতে হবে তবেই আপনার জন্ম নিবন্ধন হবে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ১৮ থেকে ২০ হাজারটাকা দিলে দালালের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তার হাত এতই লম্বা যে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে শামীম বলে দেন আপনার জন্ম নিবন্ধন হবেনা। সরজমিনে গিয়ে কথা হয় ৫ নং ওয়ার্ডের জামিলের সাথে তিনি বলেন আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন এর জন্য সব কাগজপত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতিজা শামীমের কাছে গেল তিনি বলেন আপনার কাগজপত্র কোন কিছুই ঠিক নেই আপনার জন্ম নিবন্ধন হবে না আপনি কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে যান এই বলে আমাকে পাঁচ মাস যাবত ঘুরাচ্ছে।এদিকে বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যানের আইডি থেকে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয় চেয়ারম্যান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার ভাতিজা শামীম অবৈধ পন্থায় সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সবুজ আলী বলেন আমি জন্ম নিবন্ধন করতে আসলে আমার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা অগ্রিম নিয়ে পরে জন্ম নিবন্ধন হবে আর দশ হাজার টাকা পরে দিতে হবে এই বলে চেয়ারম্যানের
ভাতিজা শামীম আমার জন্ম নিবন্ধন করে দেয় এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহ টাংগাইল ডিসি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। যার ফলে পারর্খী ইউনিয়ন পরিষদের অফিসটি অনিয়ম দূর্নীতি আখড়ায় পরিনত করেছেন চেয়ারম্যানের ভাতিজা শামীম।এছাড়া বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা সহ সকল প্রকার কার্ড করতে শামীমকে টাকা না দিলে কার্ড দেয়না ।এ ব্যাপারে পারখী ইউপি চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করলে রিসিভ করেনি সচিব মোহান্মদ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন উদ্ধোক্তা নির্ধারিত ফিস নেয় আবেদন করতে কিন্ত আমরা কোন টাকা নেইনা কেউ যদি বয়স্কভাতা বিধবা ভাতার জন্য কেউ টাকা নিয়ে থাকলে সে দায় আমরা নিবেনা