রাজৈর উপজেলা প্রতিনিধি মাদারীপুরের রাজৈরে ইলিয়াছ খালাসী নামের এক আসামিকে পুলিশ হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমা র ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত জেলা পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
অভিযোগ ও আদালতের পর্যবেক্ষণ: মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজৈর থানার (জি. আর. ৩০২/২০২৫) মামলার আসামি ইলিয়াছ খালাসীর অভিযোগ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয়ের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। তিনি জানান, পিস্তলের বাট দিয়ে তাঁর বাম হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত আঘাত করা হয়েছে এবং বাম পায়ের উরুতে বুটের লাথি মারা হয়েছে। পরবর্তীতে আসামিকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আসামির শরীরে দৃশ্যমান জখম দেখতে পান। জখমগুলো
অভিযোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় আদালত এটিকে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৩-এর অধীন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেন।
তদন্ত ও মেডিকেল রিপোট: আদালত তাৎক্ষণিকভাবে ওই আইনের ধারা ৪(১)(খ) অনুসারে আসামির দৃশ্যমান জখম পরীক্ষা, চিকিৎসা প্রদান এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক দেওয়া মেডিকেল রিপোর্টে আসামির ওপর শারীরিক নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায়।
আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশ: জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. এমারত হোসেন খান বলেন, “জি. আর. ৩০২/২৫ (রাজৈর) মামলার আসামি ইলিয়াছ খালাসীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত রাজৈর, মাদারীপুরের বিচারক মো. এলিয়াম হোসেন রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয়সহ সংশ্লিষ্টদের সনাক্ত করে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।