1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

লোহাগড়ায় ৭ হাজার ৬০ কৃষকের প্রণোদনার সার-বীজ তালিকা নিয়ে রহস্য! তথ্য গোপনে প্রশ্নের মুখে কৃষি দপ্তর

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

Q

স্টাফ রিপোর্টার :

নড়াইলের লোহাগড়ায় চলতি অর্থবছরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার ৭ হাজার ৬০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে এবার রবি মৌসুমে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, পেঁয়াজ, মসুর, খেসারি ও অড়হড় উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে সার-বীজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

কৃষি দপ্তর দাবি করছে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে গম ৫৫০ বিঘা, সরিষা ৪৪০০ বিঘা, সূর্যমুখী ১৭০ বিঘা, চিনাবাদাম ১০০ বিঘা, পেঁয়াজ ৮০ tবিঘা, মসুর ১২৭০ বিঘা, খেসারি ৪৬০ বিঘা ও অড়হড় ৩০ বিঘা জমি চাষের আওতায় আসবে।

তবে মাঠপর্যায়ে উঠেছে ভিন্ন সুর—প্রান্তিক অনেক কৃষকের নাম বাদ পড়েছে তালিকা থেকে, অথচ কৃষি উপযোগী জমি নেই এমন অনেকের নাম যুক্ত হয়েছে। ফলে প্রণোদনা বণ্টন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।

গণমাধ্যমকর্মীরা ২ নভেম্বর লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে ৭ হাজার ৬০ জন কৃষকের তালিকা দেখতে চাইলে, তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সালমান জামানের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই দপ্তরের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা হয়েও সাংবাদিকদের ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক কাজী আশরাফ (দৈনিক করতোয়া ও এশিয়ান টেলিভিশন প্রতিনিধি) তথ্য অধিকার আইনে লিখিত আবেদন দাখিল করেন। প্রথমে তথ্য প্রদানের আশ্বাস দিলেও পরে কৃষি কর্মকর্তা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বলেন, “সম্পূর্ণ তথ্য এখন দেওয়া সম্ভব নয়, আংশিক তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।”

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সালমান জামান বলেন,“উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে কৃষকদের মোবাইল নম্বর ছাড়া নামের তালিকা প্রকাশ করা যাবে।”

অন্যদিকে সাংবাদিক কাজী আশরাফ বলেন,“সরকারের এই প্রণোদনা কর্মসূচি কৃষকদের জন্য এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। কিন্তু কিছু কর্মকর্তার অস্পষ্ট আচরণে সাধারণ কৃষক বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এই সহায়তা প্রকৃত কৃষকদের কাছে পৌঁছাবে না।”

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষি দপ্তরকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে বিতরণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে হবে—নইলে সরকারের জনবান্ধব উদ্যোগ হারাবে বিশ্বাসযোগ্যতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট