1. info@dainikgonatadanta.com : দৈনিক গণতদন্ত :
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞাপন:
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

গণপূর্তে বদলি-বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন: শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতার পথে প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান

রিপোর্টারের নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:
গণপূর্ত অধিদপ্তর একটি সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে জনস্বার্থে প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে যে উদ্যমে কাজ করছে, সেটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কিছু অসাধু মহল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা মেট্রোপলিটন জোন) মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যের যে অভিযোগ তুলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বাস্তবিক অর্থে, ২৯ অক্টোবর প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব এবং পরবর্তীতে চলতি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই খালেকুজ্জামান চৌধুরী প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, দীর্ঘদিনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধ এবং দক্ষ জনবলকে উপযুক্ত স্থানে নিয়োগের মাধ্যমে কাজের গতি বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হয়ে পুরনো সুবিধাভোগী এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট এখন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে প্রশাসনিক সংস্কারকে কলঙ্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক বদলি ও পদায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পভিত্তিক কাজের মান ও সময় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে দক্ষ, কর্মদক্ষ ও নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রশ্নই ওঠে না। বরং বদলি-বাণিজ্যের গুজব রটিয়ে কিছু বিতর্কিত কর্মকর্তা নিজেদের অবস্থান রক্ষার জন্য গণমাধ্যমকে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছে।

জনসেবার অঙ্গীকারে বলীয়ান মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা ও পেশাগত দক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি অনিয়ম শনাক্ত করে তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন, যা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মপরিবেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।

অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একমত যে, একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গঠনের পথে খালেকুজ্জামান চৌধুরীর প্রশাসনিক নেতৃত্ব ও দৃঢ় অবস্থান গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। ভিত্তিহীন অপপ্রচারে তাঁকে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং তাঁর পেশাদারিত্বের প্রতি সম্মান দেখানোই এখন সময়ের দাবি।

অভিযোগ সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী সংক্ষেপে বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়েছি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে স্বচ্ছ, গতিশীল ও পেশাদার প্রশাসনে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে। আমার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ম অনুযায়ী ও দেশের উন্নয়ন স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচারিত এসব অভিযোগ বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।”

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভেতরের এক কর্মকর্তা বলেন, “যাঁরা বছরের পর বছর অনিয়মে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁদের জন্য এই প্রশাসনিক শুদ্ধি অভিযান অস্বস্তিকর। কিন্তু দেশের স্বার্থে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ কেবলই প্রভাব হারানো একটি গোষ্ঠীর অসার চিৎকার, যা নৈতিকভাবে ভ্রান্ত, বাস্তবিকভাবে মিথ্যা এবং প্রশাসনিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। গণপূর্ত অধিদপ্তর এখন যাত্রা শুরু করেছে এক স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রশাসনের পথে যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট