স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জেলা, দেবিদ্বার উপজেলা, ১১নং রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দীনের সঙ্ঘবদ্ধ চক্রে চলে অন্তত ১০ টি অবৈধ ড্রেজার। স্থানীয় সূত্রেঃ জসীম উদ্দীন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভুমি অফিসের (নায়েব) মোঃ রুহুল আমিন, মতিন মেম্বার (ছিটার মতিন), ইব্রাহীম পাঠান শফু মিয়া, (ড্রেজার শফু) সহ কয়েকজন মিলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করেন, এই চক্রে এলাকায় প্রায় পনেরো শত একর ফসলি জমি অবৈধ ভাবে কেটে বিনাস করেছেন।
রাজামেহার ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে গ্রীষ্ম, বর্ষা বারো মাসেই তিন ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক চলছে। গেলো গ্রীষ্মে তিন কোটি টাকার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি। মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরই, এমনকি জমিতে ফসল থাকা অবস্থায় ফসলি জমির মাটি কেটে ও বিক্রি শুরু করে দেয়া হচ্ছে।
আর এ মাটি, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গভীর গর্ত করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভরাট করা হচ্ছে বসতবাড়ি, পুকুর ও ডোবা-নালা।
মূলত কৃষিজমির মালিকদের আর্থিক সুবিধার টোপ দিয়ে বাধ্য করে মাটি খেকো জসিম উদদীন চেয়ারম্যান। তাৎক্ষণিক নগদ টাকা হাতে পেয়ে আগামীর চিন্তা না করেই জমির টপ সয়েল থেকে শুরু করে তিরিশ চল্লিশ ফুট পর্যন্ত গভীর করে বিক্রি করছেন কৃষকরা।
আশপাশের জমির মাটি কেটে নেয়ায় অনেকেই আবার বাধ্য হয়ে নিজের জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
উপজেলা সহকারী ভুমি (এসিল্যান্ড)কে কব্জা করেই এই রামরাজত্ব বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান, আমাকেও এই চক্রের সাথে যোগ দিতে ডাকা হয়েছিলো, তাদের চক্রে যোগ না দেওয়ার অপরাধে এসিল্যান্ড কে দিয়ে এক সাপ্তাহে পর পর দুইবার আমার ড্রেজার ভাঙচুর করেছেন।
চক্রের সদস্য শফু’র চলমান ড্রেজার পেরিয়ে আমার বন্ধ ড্রেজার ভেঙ্গেছে, কিন্তু শফু ও আশপাশে অন্যান্যদের, কারও ড্রেজার’ই ভাংচুর করেননি উপজেলা সহকারী ভূমি (এসিল্যান্ড)।