১ লা মার্চ ২০২৫, শনিবার

বার্তা প্রেরক,রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ মজনু মিয়া
মোবাইল নং ০১৭৭৩৫০৪০০০

জুলাই আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৬ জুলাই সারা দেশে শহীদ হয়েছেন রংপুরের আবু সাঈদ সহ অনেক ছাত্র জনতা
আহত হয়েছেন হাজার হাজার ছাত্র জনতা,এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই রংপুর পুলিশ লাইন্সের সামনে জরো হয় হাজার হাজার মানুষ সেদিনো পুলিশের ছোড়া গুলিতে শহিদ হয় অনেকেই আহত হয়েছেন শতাধিক ছাত্র জনতা,
১৯ জুলাই ৫ নং ছাওলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মজনু মিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশ নেন মোঃ মজনু মিয়া সহ একই ইউনিয়নের মোঃ কামরুল হাসান সরকার এবং টেপামধুপুর ইউনিয়নের যুবদলের ৭ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাইদুল ইসলাম
আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ এর ক্যাডার বাহিনী
এতে আহত হন শতাধিক ছাত্র জনতা এবং নিহত হন ছয় জন আন্দোলনকারি ছাত্র জনতা

এসময় পুলিশের ছোড়া ছড়া গুলিতে আহত হন ৫ নং ছাওলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আসাদুল ইসলাম
টেপামধুপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাইদুল ইসলামের কপালে ছড়া গুলি লাগে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান,

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে
মোঃ কামরুল হাসান সরকার হাসপাতাল থেকে কয়েকটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাড়পত্র চুরি করে নিয়ে যায় এবং তাকে আহত হিসেবে ছাড়পত্র লিপিবদ্ধ করে এবং গ্রাম্য চিকিৎসককের পরামর্শে প্রেকসিকশন লিখে গুলি লাগার ইনজুরি দেখায় এবং ফেসবুক থেকে অন্যের গুলি খাওয়া ছবি ডাউনলোড দিয়ে সংগ্রহ করে এবং আন্দোলনে অংশ নেয়া তোলা ছবি দিয়ে আহত দেখিয়ে ৫ নং ছাওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাজির হোসেন তার জ্যাঠা মারফত আহতের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে পীরগাছা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবেদন করে জুলাই ফাইটার হিসেবে সরকারি তালিকা ভুক্ত হয়ে দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ এক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং মাসিক ভাতা সহ সরকারি সব সুবিধা
আর বাকি চুরি করা ছাড়পত্র চরা দামে বিক্রি করে আরেক ভূয়া আহত মোতাহার হোসেন এর নিকট, আসলে তাদের দুই জনের মধ্যে একজনের নাম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেজিষ্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করা পাওয়া যায়নি।

শুধু তাই নয় মোঃ কামরুল হাসান সরকার এর আর এক জ্যাঠাতো ভাই মোঃ মোতাহার হোসেন কামরুল হাসান সরকারের চুরিকরা ছাড়পত্র নগত দশ হাজার টাকায় ক্রয় করে ৫ নং ছাওলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ নাজির হোসেন জ্যাঠা মারফত আহত প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করে সে নিজেও হয়েছে সরকারি তালিকা ভুক্ত আহত জুলাই ফাইটার,দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সে কোন দিন রাজনীতি বা কোন দল বা আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি সেদিন যায়নি বরং আন্দোলনের চিত্র দেখতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সামনে থেকে ছবি তুলে এবং শরীরের জন্মগত দাগের ছবি তুলে সেই ছবি দিয়ে আবেদন করেছে

আবেদন কৃত ছবি দেখলে বোঝা যায় একই রিক্সায় তিনজনের মধ্যে মাথায় ব্যান্ডেস পরিহিত লোকটি গুলিবিদ্ধ মাইদুল ইসলাম,এবং মাস্ক পরিহিত যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি আন্দোলনে ঐ তিনজনের নেতৃত্বদাতা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মজনু মিয়া,আর ডানে বসে থাকা ব্যাক্তি হচ্ছে ভূয়া আহত কামরুল হাসান সরকার।

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মজনু মিয়া জানান ১৯ জুলাই আন্দোলনে আমারা তিনজন একসঙ্গে ছিলাম শুধু মাইদুল ইসলামের কপালে ছড়া গুলি লেগে আহত হয়েছেন, কামরুল হাসান সরকার কোন ধরনের গুলিবিদ্ধ হয় নাই বা কোন আহত হয় নাই,সরকারি অনুদান ও সুবিধা ভোগের লোভে এমন কাজ করেছে সে।

শুধু তাই নয় জুলাই ফাইটার তালিকা ভুক্ত হওয়ার পর তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে জুলাই ফাইটার তালিকা ভুক্ত হয়ে

এহেন কর্মকান্ড রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল তাই সঠিক সূত্রে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণে রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু দৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।

মোঃ কামরুল হাসান সরকার,পিতা মোঃ হেলাল উদ্দিন,সাং নারায়ণপুর,পোস্ট জ্ঞানগঞ্জ বাজার ,থানা পীরগাছা, জেলা রংপুর

মোঃ মোতাহার হোসেন, পিতা মোঃ আঃ জলিল, সাং নারায়ণপুর, পোস্ট জ্ঞানগঞ্জ বাজার,থানা পীরগাছা, জেলা রংপুর