স্টাফ রিপোর্টারঃ
এ যেন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় লোহাগড়া বাসির ক্ষোভ প্রকাশ ১৯ বছর অতিবাহিত হলেও লোহাগড়া পৌরসভায় নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া।
এমনই একটি আবেদন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর নড়াইলের লোহাগড়াবাসী।
উল্লেখিত আবেদন সূত্রে জানা যায় যে,নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া পৌরসভার অধিবাসীবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে সবিনয় অনুরোধ করেন,১৯ বছর আগে চারটি ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত লোহাগড়া পৌরসভা। যার ভোটার সংখ্যা ৩০০০০ প্রায়। স্থায়ী অধিবাসী সংখ্যা ৭০ হাজারের উপরে। আর প্রাণকেন্দ্রে লোহাগড়ার সর্ববৃহৎ বাজার অবস্থিত। পৌরসভা গঠন কাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচিত চার জন মেয়র দায়িত্ব পালন করলেও পৌরবাসীর ভাগ্যের বিড়ম্বনা আর পৌরকরের বোঝা ছাড়া অন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা,পয় নিষ্কাশন ব্যবস্থা,বৈদ্যুতিক সুযোগ
-সুবিধা,সুপেয়ও পানির ব্যবস্থা কোনোটিই নেই।
যে স্থির চিত্রগুলি এখানে উত্থাপিত হয়েছে সেগুলি লোহাগড়া বাজারের বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তা। হাট বাজার বিক্রয়ের শতকরা ৭৫% ভাগ অর্থ বাজারের উন্নয়নে খরচ করার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্য পৌরবাসীর সেই অর্থ কোথায় খরচ হয় সাধারণ মানুষের কোন সুবিধা পায় তার কোন রকমের কোন নজির পৌরসভায় নেই।
প্রথম নির্বাচিত মেয়র পরপর দু’বার ক্ষমতায় থাকলেও উন্নয়নের ছোঁয়া তিনি লাগাতে পারেননি। এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলতেন আমি বিরোধী দলের মেয়র এছাড়া তৃতীয় গ্রেডের পৌরসভা আমার জন্য বরাদ্দ যতটুকু তার বেশি আমি করতে পারিনা।
তৃতীয় মেয়াদের মেয়র বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হলেও তিনি বলতেন আমি বিদ্রোহী হয়ে জিতেছি আমার জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত হয় না।
চতুর্থ মেয়াদের মেয়র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লোহাগড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক যিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রায় দুই বছর হতে গেল পৌরসভার শ্রেণী তৃতীয়ই রয়ে গেছে উন্নয়নের ছোঁয়া পূর্বে যা ছিল তাই।
জনতার উপর চেপে আছে শুধু করের বোঝা, বাড়ি করতে গেলেই যে পরিমাণ অর্থ পৌরসভায় জমা দিতে হয় প্লান পাস করাতে তাতেও হিমশিম খেতে হয় পৌরবাসীকে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কথা কমিশনার বা মেয়রকে বলতে গেলেই শুনতে হয় দুটি কথা।
আমাদের জানামতে লোহাগড়ার বারোটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট হাটবাজার এর উন্নয়ন এই পৌরসভার থেকে অনেক বেশি। সে কারণে পৌরসভায় যদি স্থায়ী অধিবাসীদের জানতে চাওয়া হয় আপনাদের যদি ইউনিয়নে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আপত্তি আছে কি? আমরা সবাই এক বাক্যে বলবে আমরা ইউনিয়নে ফিরে যেতে চাই।কৃষক এখন প্রস্তুত লোহাগড়া বাজারের বিভিন্ন অলিতে গলিতে ধানের চারা রোপনের জন্য।
এমনই ভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন
লোহাগড়াবাসী।
এ বিষয় চলমান মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমানের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে তার রুমে ঢোকার সাথে সাথে উগ্র মিজাজে সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করে এবং মোবাইল ফোন পকেটে ভরে রেখে কথা বলতে বলেন।এরপর উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রায় ১৭ মাস দায়িত্ব পালন করছি এর মধ্যে যতটুকু উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব সেটা করেছি। ১৭ মাসে কি কি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন তিনি সাংবাদিকরা সেটার তালিকা বা তথ্য চাইলে তথ্য দিতে তালবাহানা করেন।