মোঃ হাইউল উদ্দিন খান, গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের ভিতরে হৃদয় (২০) নামে এক ইলেকট্রিক মেক্যাানিককে পিটিয়ে হত্যা করার অপরাধে শফিকুল ইসলাম (৩০) নামে আরো এক জনকে গ্রেফতার করেছে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। এর আগে এ হত্যাকান্ডের পরপরই হাসান মাহমুদ (মিঠু) কে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএমপি কোনাবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালাউদ্দিন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার হাদিরা বাজার গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাসান মাহমুদ মিঠুন। সে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুসনগর এলাকায় আয়নালের বাসায় ভাড়া থেকে ওই কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতো। এবং রাজশাহীর বাগমারা থানার হাটমাদনগর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩০), সে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর হরিনারচালা সেলিমনগরে আজগর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
উল্লেখ্য গত শনিবার (২৮ জুন২০২৫ইং) দুপুরে কোনাবাড়ী থানাধীন কাশিমপুর রোডে অবস্থিত গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের অফিস কক্ষে চোর সন্দেহে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। মিথ্যা চোর অপবাদে ওই গার্মেন্টসের নিরাপত্তা কর্মীরা হৃদয়ের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লিটন মিয়া শনিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড কারখানার শ্রমিক হাসান মাহমুদ ওরফে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করা না হলেও ঘটনার ভিডিও ও তদন্তে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, হৃদয় প্রতিদিনের মতো কাজ করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি। খোঁজাখুঁজি করে যখন কারখানায় যায়, তখন দেখে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে হৃদয়ের লাশ সনাক্ত করে পরিবার।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি শফিকুল ইসলাম কোনাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা (সেলিম নগর) এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার মধ্য রাতে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে। এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান।